প্রতীকী ছবি।
টেনিস বিশ্বে আবার গড়াপেটার ছায়া।
বেলজিয়াম পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে। মাস খানেক আগেই একটি তদন্তকারী সংস্থা নিচু স্তরের টেনিসে দুর্নীতির ‘সুনামি’ চলছে বলে সতর্ক করেছিল। তার পরেই বেলজিয়ামের ২১টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সে দেশের পুলিশ। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, বুলগেরিয়া, স্লোভাকিয়া এবং নেদারল্যান্ডসেও পুলিশ হানা দেয়। একটি অপরাধী গোষ্ঠীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে তদন্তের সূত্রেই পুলিশ হানা দেয় বিভিন্ন দেশে। এই অপরাধী গোষ্ঠিতে বেলজিয়ামের পাশাপাশি আর্মেনিয়ার সদস্যও রয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে এই গোষ্ঠী পেশাদার খেলোয়াড়দের ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ দিত।
বেলজিয়ামের সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, যে ম্যাচ সন্দেহের তালিকায় রয়েছে, সেগুলি সবই ফিউচার এবং চ্যালেঞ্জার পর্যায়ের। যা টিভিতে সম্প্রচারিত হয় না। এই পর্যায়ের প্রতিযোগিতাগুলিতে সে রকম আকর্ষণীয় পুরস্কারমূল্য থাকে না বলে টেনিস খেলোয়াড়রা সহজেই ঘুষের জালে জড়িয়ে যান, এ রকমই মনে করা হচ্ছে। বেলজিয়ামের সরকারি কৌঁসুলি আরও জানিয়েছেন, ‘‘২০১৪ থেকে এই অপরাধী গোষ্ঠী এখনও সক্রিয়। আগে থেকেই ম্যাচের ফল ঠিক করে প্রচুর অর্থ আয়ের জন্যই খেলোয়াড়দের ঘুষ দেওয়া হত।’’
আটক ১৩ জনের বিরুদ্ধে আরও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না সেটা এখনও বিচার হয়নি। এই ১৩ জনের বেশির ভাগেরই কোনও আয় নেই, আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। তা ছাড়া এমন পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় এই দুর্নীতি চলত যার পুরস্কারমূল্য সাকুল্যে ৫ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার।
বেলজিয়ামের তদন্তকারীরা প্রথম সতর্ক করেছিল ২০১৫ সালে। তাঁরা জানিয়েছিল এক অপরাধী গোষ্ঠী রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ম্যাচ গড়াপেটা। টেনিস দুনিয়ায় আবার এমন একটা দিনে ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে হইচই উঠল যে দিন ফরাসি ওপেনে সেমিফাইনালে ওঠার যুদ্ধে জোকোভিচকে হারালেন ইতালির তরুণ মার্কো চেকিনাতো। ইতালির খেলোয়াড় চেকিনাতোর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জার সার্কিটে খেলার সময় ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৬-র জুলাইয়ে এই অভিযোগে তাঁকে ১৮ মাস নির্বাসনের শাস্তি হয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি অভিযোগ থেকে মুক্ত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy