সেই বিতর্কিত মূহূর্তে ম্যাক্সিম। ছবি: সংগৃহীত
প্রেমের শহর প্যারিস! এই শহরে এসে হয়তো বা একটু বেশিই প্রেমিক হয়ে পড়েছিলেন ফরাসি টেনিস খেলোয়াড় ম্যাক্সিম হামু। আর এতেই ঘটল বিপত্তি। ১১৫তম ফরাসি ওপেনে চুমু খেয়ে বিতর্কে জড়ালেন ম্যাক্সিম। রোলাঁ গারোঁয় প্রথম রাউন্ডে উরুগুয়ের প্রতিপক্ষ পাভলো চেভাসয়ের কাছে ৩-৬, ২-৬, ৪-৬ হেরে যান তিনি। এর পরেই ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি। স্থানীয় মহিলা সাংবাদিক ম্যালি থমাস ম্যাক্সিমের সাক্ষাৎকার নিতে এলে সকলের সামনে খোলা রাস্তায় তাঁর গালে চুমু খেয়ে বসেন হামু। ম্যাক্সিমের এই আচরণে স্তম্ভিত গোটা দুনিয়া। সঙ্গে সঙ্গে হামুকে সাসপেন্ড করেন ফরাসি ওপেনের আধিকারিকরা।
শতবর্ষ পেরনো ঐতিহ্যশালী ফরাসি ওপেন বরাবরই চমক দিয়ে এসেছে টেনিস দুনিয়াকে। রড লেভার থেকে রাফায়েল নাদাল, প্রত্যেকেই টেনিস বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছেন এই টুর্নামেন্ট থেকে। কিন্তু সম্প্রতি টেনিস সার্কিটে বিতর্কের অন্যতম কেন্দ্র এই ফরাসি ওপেনই। ফ্রান্সের গ্রিন পার্টির প্রাক্তন সেসিল ডুফ্লট এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “এটা সত্যিই অপমানজনক। মাক্সিম জোর করে ওই সাংবাদিককে চুমু খান। এমনকী, সেই মহিলা তাঁকে ছাড়িয়ে দূরে যেতে গেলেও তাঁকে জোর করে ধরে রাখেন তিনি।” শুধু ডুফ্লটই নন, মাক্সিমের এই আচরণে ক্রুদ্ধ ফরাসি ওপেনের আধিকারিকেরাও।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এ বার কোহালিদের সমর্থন করবেন পাকিস্তানের চাচা শিকাগো
যদিও নিজের আচরণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এই ফরাসি টেনিস প্লেয়ার। ম্যালি থমাসের সঙ্গে এই ব্যবহারকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “আমার এই আচরণের জন্য আমি ব্যথিত। আমার এই আচরণে ম্যালি আঘাত পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিক ভাবে তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।” এ দিন হামু এ-ও মনে করিয়ে দেন যে এই ফরাসি ওপেনে অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছেন তিনি। হামু বলেন, “এক জন টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে অভূতপূর্ব একটি সপ্তাহ কাটালাম রোলাঁ গারোঁয়। নিজের উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলি।”
ম্যাক্সিম হামু ছাড়াও ফরাসি ওপেনের আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় ম্যালি থমাসের কাছে ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy