Advertisement
E-Paper

ভাল ছেলে না থেকে আগ্রাসী হও, ক্লার্কের পরামর্শ পেনকে

অতিরিক্ত আগ্রাসন ও বিতর্কে জড়ানোর প্রবণতার জন্যই দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে একাধিক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল স্টিভ স্মিথের দল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০৩
বার্তা: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের জন্য ক্লার্কের বিশেষ মন্ত্র। ফাইল চিত্র

বার্তা: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের জন্য ক্লার্কের বিশেষ মন্ত্র। ফাইল চিত্র

আগ্রাসী ও নাছোড় মানসিকতা শিকেয় তুলে রেখে মাঠে ভদ্র ও ভাল ছেলে হয়ে থাকার চেষ্টা করলে যে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জেতার কথা ভুলতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে, তা জানিয়ে রাখলেন সে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তিনি চান, আগ্রাসনের আগুনে ভরা সেই চেনা অস্ট্রেলিয়া মাঠে ফিরে আসুক। তা হলেই আগের মতো সাফল্যে ফিরবেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থরা।

তাঁদের অতিরিক্ত আগ্রাসন ও বিতর্কে জড়ানোর প্রবণতার জন্যই দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে একাধিক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল স্টিভ স্মিথের দল। শেষ পর্যন্ত তাঁদের দুঃসাহসের মূল্য চোকাতে হয়, বল-বিকৃতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। যা সে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম বড় কেলেঙ্কারি হয়ে থেকে যেতে পারে।

ওই ঘটনার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা মাঠে ভদ্র দল হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি টানা ব্যর্থতায় তাঁদের খারাপ সময়ও যাচ্ছে। দুই ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে ক্লার্কও রয়েছেন। যিনি অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছেন ১৪টিতে।

আরও পড়ুন: স্টার্কদের তৈরি করতে অস্ট্রেলিয়ার নেটে স্মিথ

অস্ট্রেলিয়ার এক রেডিওয় ক্লার্ক বলেছেন, ‘‘সবার পছন্দের দল হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া বরং কী ভাবে বিপক্ষের সমীহ আদায় করতে পারে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করুক। কঠোর, আগ্রাসী অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটই খেলুক ওরা। ভাল লাগুক বা না লাগুক, এটা আমাদের রক্তে আছে। এটা ছেড়ে দিলে হয়তো আমাদের সবাই ভালবাসতে পারে। কিন্তু আর ম্যাচ জিততে হবে না।’’

ক্লার্ক মনে করেন, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো হতে হবে তাঁদের দেশের ক্রিকেটারদের। যে ভাবে ওয়ার্নার চাঁচাছোলা কথা বলতেন, মাঠে আচরণ করতেন, ভারতের বিরুদ্ধে সেটাই এখনকার ক্রিকেটারদের থেকে চাইছেন প্রাক্তন অধিনায়ক। ওয়ার্নারের প্রশংসা করে ক্লার্ক বলেন, ‘‘সোজাসাপ্টা কথা বলা, চোখে চোখ রেখে তর্ক করা, এটাই ওর স্টাইল। অধিনায়ক হিসেবে আমি ওকে সব সময় দলে চাইতাম। কারণ, ও সেই আগ্রাসনটা দলের মধ্যে আনত, যেটা আমি চাইতাম। কিন্তু সব সময়ই একটা সীমার মধ্যে থাকার চেষ্টাও করত ও। আমাদের মধ্যে এই নিয়ে অনেকবার ব্যক্তিগত আলোচনাও হয়েছে। ওয়ার্নার ক্রিকেটে ফিরে এলে ওকে যদি মাঠে ভিজে বিড়াল হয়ে থাকতে বলা হয়, তা হলে বোধ হয় ও সেটা পারবে না। কারণ, আগ্রাসনই ওয়ার্নারকে ভাল খেলতে সাহায্য করে।’’

আরও পড়ুন: জেতার সেরা সুযোগ, তবে সতর্ক ইশান্ত

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকে ক্লার্কের পরামর্শ, ক্রিকেটারদের লড়াকু মেজাজে কাটছাঁট করতে না বলে তাতে সায় দেওয়া উচিত। কারণ, এতে ক্রিকেটারদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যার জের তার পারফরম্যান্সেও পড়ে। অস্ট্রেলিয়া যে গত ২৬টির মধ্যে ১৮টি ম্যাচেই হেরেছে, হঠাৎ নির্জীব হয়ে পড়াকে তার অন্যতম কারণ হিসেবেও দায়ী করেন ক্লার্ক।

কয়েক দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি অস্ট্রেলিয়ায় খেলার পরে বলেছিলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়াকে সেই চেনা আগ্রাসী মেজাজে দেখতে না পেয়ে ভাল লাগেনি। আগ্রাসনের অভাবটা হয়তো ওদের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলছে। আগের অস্ট্রেলিয়াই ভাল ছিল বোধ হয়। ওরা মাঠে নামলে একটা লড়াইয়ের ভাব থাকত।’’

Cricket Michael Clarke Australia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy