বিরাট কোহালির সঙ্গে মানুষী চিল্লার। ছবি: মিস ইন্ডিয়ার টুইটার সৌজন্যে।।
হঠাৎ দেখা। যেখানে সদ্য বিশ্ব সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরা হয়ে আসা এক ডাক্তারির ছাত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হল ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ককে।
এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিরাটের হাত থেকে সংবর্ধনা নিলেন মানুষী চিল্লার। আর সেখানেই ঘটল এই ঘটনা। বিরাটকে প্রশ্ন করে বসলেন মানুষী। ঠিক যে ভাবে ব্যাট চালিয়ে রানের পাহাড় গড়েন বিরাট,সে ভাবেই জবাবও দিলেন।
মানুষীর প্রশ্ন, ‘‘আপনাকে দেখে যাঁরা অনুপ্রাণিত হয় তাঁদের তুমি কী দিতে চাও?’’
এর পর অনর্গল বিরাট কোহালি। বলে গেলেন পর পর। একটার পর একটা যেন ছক্কা হাঁকিয়ে গেলেন। আর সে কথা মুগ্ধ হয়ে শুনলেন বিশ্ব সুন্দরী মানুষী।
প্রথমে বিরাট বলেন,‘‘এটা সবার আগে বুঝতে তুমি যা করছ সেখানে নিজেকে উজার করে দিচ্ছ কি না। হৃদয় থেকে আসছে কি না। মানুষ যদি বুঝতে পারে তুমি ভান করছ তা হলে তারা আর তোমার কাছে আসবে না। আমি কখনওই কারও মতো হতে চাইনি, সব সময়ই নিজের মতো হতে চেয়েছি।’’
আরও পড়ুন: অভিষেকেই অভিনব আউট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল অ্যামব্রিস
আরও পড়ুন: ‘২০১১ বিশ্বকাপে আমার বলে সচিন আউট ছিল’
তাঁর ব্যবহার এবং আচার বিচার নিয়েও বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকম যে সমস্যা ছিল তাও এ দিন মনে করিয়ে দেন বিরাট।তিনি বলেন, ‘‘আমি বহুবার বলেছি আমাকে নিয়ে মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ ছিল, সমস্যা ছিল। কিন্তু আমার কখনওই কোনও সমস্যা ছিল না। যখন আমি মনে করেছি আমার বদলানো প্রয়োজন, আমি তখনই বদলেছি।’’
‘‘সকলের এটা বোঝা উচিৎ যে, নিজের পরিচয়, ব্যক্তিত্ব এবং স্বভাব কখনই হারানো উচিৎ নয় কারণ তুমি যদি কাউকে নকল করার চেষ্টা কর তা হলে কখনই সাফল্য পাবে না এবং অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাতেও ব্যর্থ হবে,’’ সংযোজন বিরাটের।
তিনি আরও বলেন,‘‘আমি বিশ্বাস করি এমন কিছু আছে যা আমাদের আরও ভাল করতে সাহায্য করে। সব সময় মাঠে গিয়ে রান করা বা উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের থাকে না। আমরা শুধু কঠোর পরিশ্রম করতে পারি এবং নিজেদের প্রতি সৎ হতে পারি।’’
তাঁকে নিয়ে আগ্রহের অভাব নেই মানুষের মধ্যে, তবে এত সাফল্যের মধ্যেও নিজেকে দিল্লি থেকে উঠে আসা একটি সাধারণ ছেলেই মনে করেন বিরাট। তাঁর কথায়, ‘‘আমি দিল্লি থেকে উঠে আসা একজন সাধারণ ছেলে। আমি যেখানেই থাকি, সব সময়ই মনে রাখব কোথা থেকে আমি উঠে এসেছি এবং এখানে আসা পর্যন্ত কোন কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। মাঠে নেমে কোনও প্রত্যাশা থাকে না, কোনও মাইলস্টোনেরও কথাও মাথায় থাকে না। আমি গিয়ে শুধু নিজের কাজটাই করি। আমার কাছে জীবনের আনন্দ মানে, বলকে ভাল করে দেখে ব্যাটের মাঝ বরাবর সেটাকে মারো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy