বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচেই ১১১ রানের বিরাট জয়। তা-ও ইংল্যান্ডের মতো হেভিওয়েট টিমের বিরুদ্ধে। তবু যেন সন্তুষ্ট নন মিচেল জনসন। তাঁর মনে হচ্ছে, এর চেয়েও ভাল ক্রিকেট খেলতে পারে অস্ট্রেলিয়া! তাঁর ইচ্ছে, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগে নিখুঁত ক্রিকেটের স্টেশন গন্তব্য হোক তাঁর টিমের।
মেলবোর্নের জয়ের পর আপাতত দু’দিন ছুটি কাটাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া টিম। ব্রিসবেনে তাদের টিম হোটেলে। আর ছুটির মধ্যেও জনসনের চিন্তায় ঘুরছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ। ১৯৯৫ থেকে ২০০৮ এক যুগেরও বেশি যে সময়টা অপ্রতিরোধ্য ছিল তারা। যে সময় অস্ট্রেলীয় টিমে একটা কথা খুব চলত জয় থেকে জন্ম নেয় আত্মবিশ্বাস এবং আরও বেশি জয়। জর্জ বেইলির অধিনায়কত্বে এই টিমটা টানা আটটা ওয়ান ডে হারেনি। তার উপর দলে ফেরার পথে মাইকেল ক্লার্ক। নব্বইয়ের স্বর্ণযুগ না হোক, এই অস্ট্রেলিয়াকে হারানো খুব সহজ নয়।
তবু মিচেলের মধ্যে আত্মতুষ্টি কম, নিজেদের উন্নত করার চেষ্টা বেশি। মেলবোর্নে জয়ের পর কোচ ডারেন লেম্যান নাকি টিম মিটিংয়ে বিশেষ কিছু বলেননি। কিন্তু মিচেল নিজের মতো করে ভাবা শুরু করে দিয়েছেন। “আমরা কিছু জিনিস আরও ভাল ভাবে করতে পারি। ওই ম্যাচটায় খুব তাড়াতাড়ি কয়েকটা উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তার পর শেষের দিকে ফিল্ডিংও একটু ঢিলে হয়ে গেল। আসলে গোটা টুর্নামেন্টেই আরও উন্নতি করতে চাই আমরা। নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে চাই,” বলে দিচ্ছেন জনসন। সঙ্গে সংযোজন, “হালফিলে আমরা দারুণ ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলছি। সবার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। ইংল্যান্ড ম্যাচটার আগে টিমের কয়েক জন বেশ নার্ভাস ছিল। কিন্তু মাঠে সবার মধ্যে প্রচুর এনার্জি ছিল।”
ক্লার্কের প্রত্যাবর্তন নিয়ে মিডিয়ায় যে জল্পনা চলছে, তাতে তাঁর বা তাঁর সতীর্থদের উপর প্রভাব পড়ছে না বলে মনে করেন জনসন। “সত্যি বলতে কী, ব্যাপারটা নিয়ে আমি বিশেষ কিছু শুনিনি। ও টিমের সঙ্গে থাকছে, ট্রেনিং করছে, মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু ম্যাচ খেলা নিয়ে কী ঠিক হয়েছে, জানি না। ক্লার্ক-প্রসঙ্গ মোটেও আমাদের প্রস্তুতিতে কোনও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে না। ক্লার্ক নিজের কাজ করছে, আমরা আমাদের কাজটা করছি,” বলে জনসন আরও যোগ করেছেন, “ক্লার্কের অধিনায়কত্ব আমার দারুণ লাগে। ও প্রচুর অভিজ্ঞ। জর্জও ভাল ক্যাপ্টেন। কিন্তু অনেক বছর ধরে ক্লার্কই আমাদের অধিনায়ক আর আমি জানি, টিমের সবাই ওর পাশেই আছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy