আইএসএল না আই লিগ কোথায় খেলবে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান তা নিয়ে নাটক চলছেই। সেই সুযোগে নিজেদের ঘর প্রায় গুছিয়ে ফেলল মহমেডান। বৃহস্পতিবার দলবদলে সবথেকে বড় চমক দিল সাদা-কালো শিবির।
তিন দিন আগে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল এফসি-র মিডিও মেহমুদ আল আমনাকে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তাকে ছাপিয়ে গিয়ে এ বারের আই লিগের সেরা বিদেশি শিলং লাজংয়ের স্ট্রাইকার ডিপান্ডা ডিকাকে চুক্তিবদ্ধ করল মহমেডান। ক্যামেরুনের ডিপান্ডা ফেডারেশনের বিচারে এ বার শুধু আই লিগের সেরা বিদেশি স্ট্রাইকারের পুরস্কারই পাননি, সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৭ ম্যাচে ১১ গোল) হয়ে সোনার বুটও পাচ্ছেন।
মহমেডানের এ বার আইএসএল এবং আই লিগ খেলার কোনও সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও ডিপান্ডার মতো সফলতম ফুটবলার কেন হঠাৎ পুরো দশ মাসের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন সেটা বিশ্ময়ের। তিনি দেশে ফিরে যাওয়ায় ফোনে ধরা যায়নি। তবে মুম্বইতে বৃহস্পতিবার রাতে ডিপান্ডাকে সই করিয়ে ফেরা মহমেডানের এক কর্তা বললেন, ‘‘কলকাতা লিগে আমাদের হয়ে খেলুক। আই লিগে আমরা খেলার সুযোগ পেলে ও থাকবে। যদি আমরা আই লিগে না খেলি আর ডিপান্ডা যদি আইএসএলে কোনও ক্লাবে ডাক পায় তা হলে আমরা বিক্রি করারও সুযোগ পাব। সব দিক ভেবেই আমরা ওকে সই করিয়েছি।’’
মহমেডানের স্পনসর নেই। তা সত্ত্বেও একদল তরুন কর্তা এ বার কলকাতা লিগ পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছেন প্রচুর টাকা নিয়ে। ইতিমধ্যেই কোচ হিসাবে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে নিয়েছেন তাঁরা। যে দলটি বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতেছে সেই দলের আট জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলা হয়েছে গোপনে। তাঁরা কথা প্রায় পাকা করে ফেলেছে মোহনবাগান গোলকিপার শিল্টন পালের সঙ্গে। আইজলের স্টপার ওবুমানিমে কিংসলেকেও নিতে পারে তারা। ৩০ মে আই লিগ জয়ী আইজল টিমকে বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। সেটার পর কিংসলে সই করবেন বলে দাবি করলেন এক কর্তা। জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অনুশীলন শুরু হবে। এক কর্তা বললেন, ‘‘গতবার অল্পের জন্য লিগ পাইনি। এ বার কলকাতা লিগ জেতাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’
এ দিকে শুধু কলকাতা লিগের জন্য আপাতত দু’জন বিদেশিকে নেওয়ার কথা ভাবছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তাঁরা কথা চালাচ্ছেন ঘানার স্ট্রাইকার মুড়িতালা সাইদু এবং জাম্বিয়ার ডিফেন্ডার জিও টেম্বোর সঙ্গে। আরও বেশ কয়েকজনের সিডি-ও এসেছে কর্তাদের কাছে। তাদের প্রাথমিক পছন্দ হয়েছে ওই দু’জনকেই। তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি।