আলোচনায় থাকা তিন নাম। জোসেফ আফুজি, এলকো সাতৌরি, সঞ্জয় সেন।
মোহনবাগান কোচ নির্বাচনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আর্থিক সমস্যা।
মোট তিন জনকে এ পর্যন্ত প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বাগান কর্তারা। বৃহস্পতিবার দুই বিদেশি কোচের কাছে আর্থিক প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এঁরা হলেন ডাচ কোচ এলকো সতৌরি এবং ব্রিটিশ কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। কিন্তু শুক্রবার সকালে ভেসে উঠেছে আরও একটি নামসোনি নর্ডির প্রাক্তন কোচ নাইজিরিয়ান জোসেফ আফুজি নাকি আগ্রহী কোচ হতে। বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমণ্ডির কোচ হয়ে গত বছর জোসেফ আইএফএ শিল্ডে খেলতে কলকাতায় এসেছিলেন। যে দলে তখন ছিলেন সোনি। দুই প্রধানকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত মহমেডানের কাছে হেরে রানার্স হন জোসেফের ধানমন্ডি। ওকোরি চিমাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে খবর।
কিন্তু মজার ব্যাপার হল বাগান যে আর্থিক প্রস্তাব তিন বিদেশিকে দিয়েছে তা তাঁদের দাবির অর্ধেক। প্রাক্তন ইউনাইটেড কোচ এলকোর সঙ্গে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে দিলেন, “বাগান আমার কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আমি কোচিং করাতে রাজি। ওদের প্রস্তাবের উত্তরও পাঠিয়েছি।” বাগানের এক কর্তা রাতে জানান, এলকো পাল্টা যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে তা আমাদের কাছে এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। “অনেক বেশি টাকা চেয়েছে ও,” বলে দিলেন ওই কর্তা। আর আইএসএলে কেরল ব্লাস্টার্সের কোচ মর্গ্যান এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আর জোসেফ আফুজির সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও চিমার মন্তব্য, “ক্লাব কর্তারা ব্যাপারটা দেখছেন। ওদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তবে ওর উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্স আছে।”
সহসচিব সৃঞ্জয় বসু এখনও সিবিআই হেফাজতে। এ দিনও তাঁর জামিন হয়নি। প্রেসিডেন্ট-সহ ক্লাবের অন্য শীর্ষ কর্তারাও এই মহূর্তে ব্যস্ত সহসচিবকে নিয়ে। ফলে কো-স্পনসর আনার ব্যাপারে তাঁরা ঝাঁপাতে পারছেন না। এমনিতেই এ বার দল গড়ার পর দেড় কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে বাজাটে। সেই ঘাটতি তাই এখন বাড়াতে চাইছেন না বাগান-কর্তারা। ফলে কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক কর্তারা। মোহন-সচিব অঞ্জন মিত্র অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন। এখন সুস্থ হয়ে শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র নিয়মিত মাঠে আসছেন। এ দিন তিনি বললেন, “সবাই মিলে আলোচনা করে কোচ ঠিক হবে। তবে দেখতে হবে যাতে বাজেটে আমাদের ঘাটতি আর না বাড়ে। আমরা চাই কোচ বা ফুটবলাররা যাতে বছরের শেষ টাকার জন্য না ঘোরে।”
আর বিদেশিদের চাহিদা আর মোহনবাগানের সিদ্ধান্তের মধ্যে অবশ্য আলোচনায় রয়েছেন ময়দানের অন্যতম সফল কোচ সঞ্জয় সেন। কোনও বঙ্গসন্তানকে যদি কোচ করতে হয় তা হলে সঞ্জয়কেই করা হবে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন কর্তারা। কারণ তাঁর ‘এ’ লাইসেন্স আছে। সঞ্জয় অবশ্য এ দিন দাবি করলেন, “আমার সঙ্গে মোহনবাগানের কেউ এখনও কথা বলেননি।”
বাগানে অবশ্য এখন অনুশীলন বন্ধ। তা শুরু হওয়ার কথা ১০ ডিসেম্বর। তার আগেই কোচ নির্বাচন করতে চাইছেন ক্লাব কর্তারা। শহরে থাকা কাতসুমি-সহ বাগান ফুটবলারদের মতোই আইএসএলে কেলা শিল্টন-প্রীতমরাও কর্তাদের কাছে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন কোচ নিয়ে। এরই মধ্যে নতুন বিদেশি বেলো রাজ্জাকের সঙ্গে পাকা চুক্তি হয়ে গেল মোহনবাগানের। টালিগঞ্জ আগ্রগামী তাঁকে রিলিজ করে দিল। অ্যালেক্সের জায়গায় তিনিই হবেন বাগানের চার নম্বর বিদেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy