তাঁর আনা সহকারি কোচ ওয়ারেন হ্যাকেটকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। হ্যাকটের বকেয়া টাকা দেওয়া দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সোমবার সকালে ফোন করেছিলেন ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যকে। কিন্তু তাঁকে কোচ করার ব্যাপারে যিনি এ বার প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই ফুটবল সচিবের সঙ্গেই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলেও ট্রেভর জেমস মর্গ্যান বুঝতেও দেননি তিনি সন্ধ্যায় পদত্যাগ করতে চলেছেন। সন্তোষবাবু রাতে বললেন, ‘‘সকালেই তো কথা হয়েছে। ওঁকে আমরা তো সরে যেতে বলিনি। পরপর চারটে ম্যাচ হারার পরে হয়তো বুঝেছেন আর হবে না। সে জন্যই হয়তো পদত্যাগ করেছেন।’’
সন্তোষবাবুকে কিছু না বললেও জানা গিয়েছে সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকজন ও ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে উইলিস প্লাজাদের হেড মাস্টার বুঝে যান আজ না হোক কাল তাঁকে সরতে বাধ্য করা হবে। তাঁর প্রিয় গোলকিপার কোচ অভিজিৎ মণ্ডলকে সরানোর ইঙ্গিতও পেয়েছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার অনুশীলনে নামলে ফের সমর্থক বিক্ষোভের ইঙ্গিতও না কি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল তাঁর কানে। এমনিতে ক্লাব সচিব-সহ বিভিন্ন কর্তারা তাঁর বিরুদ্ধে নানা কথা বলে চাপ সৃষ্টি করছিলেন ডার্বির আগে থেকেই। মোহনবাগানের কাছে বিশ্রী হারের পর শিলিগুড়িতেই কর্তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে মর্গ্যান আরও বিরাগভাজন হয়েছিলেন কর্তাদের। কেউ তাঁর সঙ্গে বাক্যালাপও করছিলেন না গত কয়েকদিন। ফলে পদত্যাগ করা ছাড়া লাল-হলুদ কোচের সামনে কোনও উপায় ছিল না।
সাত বছরে প্রায় চার বছর লাল-হলুদের কোচ মর্গ্যান। আই লিগ এনে দিতে পারেননি আগের তিন মরসুমেও। এ বারও পারলেন না। কিন্তু এভাবে মাথা নিচু করে কখনও ব্রিটিশ কোচকে সরে যেতে হয়নি। এর আগে গোয়াতেও ডেম্পোকে অবনমনে ফেলে সরে গিয়েছিলেন তিনি।