তাঁর প্রেরণা সাইনা নেহওয়াল। কিছুটা মেরি কমও।
অলিম্পিয়ান মৌমা দাসের সিদ্ধান্ত এবং ইচ্ছেশক্তি দুটোই যেন মিলে যাচ্ছে মেরি-সাইনার সঙ্গে। যে দু’জনের সাফল্যে দু’দিন আগেই আলোড়িত হয়েছে দেশ। সেই পথেই হাঁটতে চাইছেন দু’বারের অলিম্পিয়ান।
কমনওয়েলথে রেকর্ড সংখ্যক (১৭) পদক রয়েছে মৌমার। তবুও মেরি কমের মতোই বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে সাফল্যের খোঁজে তিনি। স্বামী-সংসার সামলে তেত্রিশে পৌঁছেও পদক জয়ের খিদে মেটেনি তাঁর। অস্ট্রেলিয়ায় সামনের বছর এপ্রিলে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়কে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন মধ্যমগ্রামের মেয়ে। নয়ডা থেকে ফোনে মৌমা বলে দিলেন, ‘‘কমনওয়েলথে প্রচুর পদক পেলেও সোনা এখনও পাইনি। এখন মেয়েদের সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই পাখির চোখ আমার।’’
আন্তর্জাতিক টুনার্মেন্টে ভাল ফল করায় কেন্দ্রীয় সরকারের সেরা টপ স্কিমে এ বারও নাম রয়েছে মৌমার। কিন্তু দেশের মাটিতে বহুদিন সাফল্য নেই তাঁর। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি গত তিন বছর। পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০১৪-তে থেমে যেতে হয়েছে মৌমাকে। বলা যায়, ছোটবেলার কোচ জয়ন্ত পুশিলালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জন্য তাঁর কোচিং সেন্টার ছেড়ে আসার পর আর চ্যাম্পিয়ন হননি। সাইনা নেহওয়াল যেমন সেরা ফর্মে ফিরতে পুলেল্লা গোপীচন্দের কাছে ফিরে সফল হয়েছেন, সেই রাস্তাতেই এ বার যেতে চাইছেন মৌমা। সব মান অভিমান ভুলে ফিরতে চাইছেন জয়ন্তর কাছে। বললেন, ‘‘আবার নারকেলডাঙ্গায় গিয়ে অনুশীলন করব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওখানে ছোটবেলায় যেমন শিখতাম তেমন শিখব। জয়ন্ত-স্যারই একমাত্র কোচ যিনি আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারেন। ওনার চেয়ে বেশি আমাকে আর কে জানে? আমার লক্ষ্য সাফল্য পাওয়া। সাইনা যেমন করেছে।’’ আর পুরানো ছাত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেননি দেশের অন্যতম নামী কোচ জয়ন্তও। বললেন, ‘‘কোচেদের অভিমান করে থাকতে নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্য সব ভুলিয়ে দেয়। মৌমা তো আমার কোচিংয়েই পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আবার যাতে সেই ফর্ম সে ফিরতে পারে সে জন্য শনিবার থেকেই নেমে পড়ব ঠিক করেছি। ওর জন্য আলাদা স্কিমও তৈরি করছি। যেমন আগে করতাম।’’ আর কোচের কথা শুনে মৌমার মন্তব্য, ‘‘মেরি-সাইনা যদি পারে আমিও পারব। তবে কমনওয়েলথে সোনা জিতলে আর ব্যাট হাতে নামব না হয়তো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy