সমস্যা: তিন উইকেট নিলেও শিশির ভুগিয়েছে কুলদীপদের।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ছক ব্যর্থ করে বুধবার রাতে বিশাখাপত্তনমে ম্যাচ টাই করে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেই হোপ!
শেষ বলে জেতার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। দলকে জেতাতে পারেননি হোপ। কিন্তু ডিপ পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ম্যাচ টাই করে দেন তিনি। শেষ বলের আগে ফিল্ডিং বদলেছিল ভারত। থার্ডম্যানকে বৃত্তের মধ্যে তুলে এনে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ফিল্ডার পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া ছিল ডিপ কভার, লং অফ। যা বুঝিয়ে দিচ্ছিল, উমেশ যাদবের শেষ বলটা অফস্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ হতে যাচ্ছে। এর আগে পর্যন্ত উমেশের ইয়র্কারগুলো স্টাম্পের মধ্যেই ছিল।
শেষ বলে এই রণনীতি বদলের কৌশল অবশ্য কাজে আসেনি। এও জানা গিয়েছে, এই ছক বদলের পিছনে কাজ করেছে ধোনির মস্তিষ্ক। যে কথা সাংবাদিক বৈঠকে এসে জানিয়েছেন কুলদীপ যাদব। কিন্তু কেন শেষ বলে এই ছক বদল? প্রশ্ন করা হলে কুলদীপ বলেন, ‘‘সে সব বোঝার অভিজ্ঞতা আমার নেই। আমি তিরিশটা ওয়ান ডে খেলেছি, মাহি ভাই তিনশোটা ওয়ান ডে খেলেছে। ওই সময় মাহি ভাই ওটাই ঠিক মনে করেছিল। এ রকম হতেই পারে।’’
হোপ আবার শেষ বলে স্ট্রাইক নেওয়ার আগে মনে মনে চেয়েছিলেন, ভারত যেন পরিকল্পনা অনুযায়ীই বল করে। অর্থাৎ অফস্টাম্পের বাইরে ফুললেংথ বল। ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে হোপ বলেছেন, ‘‘আমি চাইছিলাম উমেশ যেন ফিল্ডিং অনুযায়ী বল করে। ধরেই নিয়েছিলাম, অফস্টাম্পের বাইরে ফুললেংথ বল আসছে। সেই মতো নিজেকে তৈরি রেখেছিলাম। চেয়েছিলাম, বলটা ব্যাটে লাগাতে। লক্ষ্য ছিল ছয় মারা। সেটা হয়নি, কিন্তু ম্যাচটা আমরা হারিনি।’’
একটা সময় তো মনে হচ্ছিল, ভারতই ম্যাচটা হেরে যাবে। ৬৬ বলে ৬৫ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথমে শিমরন হেটমায়ার এবং পরে হোপ মিলে ভারতকে হারের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। কেন এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপর দাগ কাটতে পারল না ভারতীয় বোলিং? কুলদীপ বলেছেন, ‘‘শিশিরের জন্য বল ভিজে গিয়েছিল। একে পিচ গতিশীল হয়ে উঠছিল, তার ওপর ভিজে বল। সব মিলিয়ে বোলারদের সমস্যা হয়ে গিয়েছিল। আমি তো বল ভাল করে গ্রিপই করতে পারছিলাম না।’’ তবে এর পাশাপাশি এই চায়নাম্যান বোলার এও বলেছেন, ‘‘আমাদের সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। আরও অনুশীলন করতে হবে।’’ কিন্তু সে ক্ষেত্রে টস জিতে আগে কেন ব্যাট নেওয়া হল? কুলদীপ জানাচ্ছেন, তাঁরা ভেবেছিলেন উইকেট পরের দিকে মন্থর হয়ে যাবে।
শিশির সমস্যা করলেও কুলদীপই ছিলেন ভারতের সেরা বোলার। তিন উইকেট নেন এই স্পিনার। কুলদীপের মুখে শোনা যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ ব্যাটসম্যান হেটমায়ারের প্রশংসা। কুলদীপ বলেন, ‘‘হেটমায়ার দুরন্ত খেলছে। ওকে বল করা কিন্তু সহজ কাজ নয়। আমি রান আটকানোর পাশাপাশি চেষ্টা করছিলাম হেটমায়ারকে আউট করারও। ও আমার বিরুদ্ধে খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিল না। কিন্তু গোটা দুয়েক ছয় মেরে ছবিটা বদলে দেয়।’’
মহম্মদ শামি এবং উমেশ যাদবের পেস আক্রমণ দুটো ওয়ান ডে ম্যাচের পরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কুলদীপ অবশ্য পেসারদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশাখাপত্তনমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটা সময় খুব ভাল জায়গায় ছিল। সেখান থেকে আমরা ফিরে এসেছি। আমাদের বোলিং নিয়ে আমরা খুশি। শিশিরের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy