ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের এক বুথ স্তরের আধিকারিককে (বিএলও) সাহায্য করছিলেন। পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কী কারণে আত্মহত্যা করলেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই সহকারী বিএলও-র নাম বাদশা শেখ (২৯)। তিনি রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত বান্ধা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সোমবার সকালে বাদশা ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁর পরিবারের লোকেরা ডাকতে গিয়ে ঘরের মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। মাত্র ১১ মাস আগে বাদশা শেখের বিয়ে হয়েছিল। রবিবার রাতে ওই যুবক যখন আত্মঘাতী হন, সেই সময় তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না।
বাদশার সহকর্মী সঞ্জয় ঘোষের কথায়, ‘‘রোজকার মতো শনিবারও স্কুলে এসেছিলেন বাদশা। কাজও করেন। ওঁর কোনও সমস্যা ছিল বলে তো জানা ছিল না। হঠাৎ জানতে পারলাম আত্মহত্যা করেছেন বাদশা। কী কারণে এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন আমরা বুঝতে পারছি না।’’ মৃতের ভাই রাজা শেখ বলেন, ‘‘আমার দাদা গ্রামে সহকারী বিএলও হিসাবে কাজ করছিলেন।’’ তবে কাজের চাপ ছিল কি না, তা জানা ছিল না বলে জানান রাজা। মৃত ওই শিক্ষকের অপর এক সহকর্মী জানান, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে বাদশা নিজের গ্রামের একটি বুথে সহকারী বিএলও হিসাবে কাজ করছিলেন। রাজ্য জুড়ে এসআইআর শুরুর সময় থেকে তাঁকে এই কাজে নিয়োগ করা হয়নি। পরবর্তী কালে বিএলও-র কাজের সুবিধার জন্য বাদশাকে নিজের গ্রামে সহকারী বিএলও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।’’ তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।