বোর্ড রাজি না হলেও তাদের হেভিওয়েট পূর্ণসদস্য মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার (এমসিএ) লোঢা-সুপারিশ মেনে ক্রিকেট প্রশাসনে আমূল বদল আনতে কোনও অসুবিধা নেই। আগেই এ কথা তারা লোঢা কমিটিকে জানিয়েছিল। এ বার বিসিসিআই-কেও তারা সরকারি ভাবে জানিয়ে দিল। এমসিএ সচিব পিভি শেট্টি বুধবার লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন, তাঁরা লোঢা-সুপারিশ মানতে তৈরি এবং বোর্ড এই ব্যাপারে যা যা অসুবিধার কথা আদালতকে জানিয়েছে, তার সমাধানও তাঁদের কাছে আছে। আদালতে বোর্ডের আইনজীবীরা বারবার জানিয়েছেন যে তাঁদের বেশির ভাগ সদস্যই লোঢা-সুপারিশ মানতে রাজি নয়। কিন্তু এমসিএ ছাড়াও বিদর্ভ ও ত্রিপুরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের এই সুপারিশ মেনে প্রশাসনিক পরিবর্তন আনতে কোনও অসুবিধা নেই। এখন এমসিএ বোর্ডকে এই চিঠি দেওয়ায় আদালতে বোর্ড অস্বস্তিতে পড়তে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর সব সদস্যদের লোঢা কমিটির বিরুদ্ধে তাঁদের আইনি লড়াইয়ে এককাট্টা থাকার অনুরোধ করলেও দেখা যাচ্ছে বোর্ডের টিমেই ফাটল ধরে বসে রয়েছে। এমসিএ-র এই চিঠি সেই ফাটলকে আরও স্পষ্ট করে দিল বলে দেশের ক্রিকেট মহল বলতে শুরু করেছেন। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, এই চিঠিকে হাতিয়ার করেই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সংস্থাগুলোকে লোঢা-সুপারিশ মানতে বাধ্য করতে পারে। তাদের যুক্তি হতে পারে, দেশের সবচেয়ে সফল ও প্রভাবশালী ক্রিকেট সংস্থা যখন বলছে, তারা লোঢা-সুপারিশ পুরোপুরি মানতে তৈরি, তা হলে অন্যদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বোর্ডেরই অনুমোদিত সংস্থার এ ভাবে আদালতের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়াটা তাই কিছুটা হলেও অপ্রত্যাশিত বলে মনে করছে আইনজ্ঞ মহল। সত্যিই আদালত এমসিএ-র এই চিঠিকেই হাতিয়ার করবে কি না, সেটাই এখন দেখার।
শুধু লোঢা-সুপারিশ মানাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা যে বোর্ডের দেওয়া ১৮.৯২ কোটির অনুদান ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখে দিয়েছে, তাও জানিয়ে দিয়েছে এমসিএ। আদালত না বলা পর্যন্ত এই তহবিলে তারা হাত দেবে না বলেও জানিয়েছেন বোর্ডকে।