অতিমারির জন্য বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইতিমধ্যেই দু’সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। এমনিতেই ৭২ জন খেলোয়াড় দু’সপ্তাহের জন্য হোটেলে নিভৃতবাসে রয়েছেন। অনুশীলন দূরের কথা, তাঁদের ঘর থেকেও বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। তার উপরে আরও দু’জন খেলোয়াড় ও দু’জন টুর্নামেন্টের কর্মচারীর কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছেন ভিক্টোরিয়া প্রদেশের পুলিশমন্ত্রী লিজা নেভিল। তিনি জানিয়েছেন, দু’জন খেলোয়াড়ের একজনকে কঠোর নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। তার কারণ তিনি যে বিমানে মেলবোর্নে এসেছেন, সেখানে আরও আক্রান্ত ছিলেন।
খেলোয়াড় ও তাঁদের দলের সদস্য নিয়ে প্রায় এক হাজার জন অস্ট্রেলীয় ওপেনে অংশ নিতে মেলবোর্নে এসেছেন। তাঁদের নিয়ে আসা হয় মোট ১৭টি চার্টার্ড বিমানে। কিন্তু উড়ানেই দেখা যায় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। হোটেলে বন্দি কয়েক জন খেলোয়াড় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ক্ষোভের কথা লিখেছেন। বিশ্বের ১৩ নম্বর পুরুষ খেলোয়াড় রবের্তো বাতিস্তা আগুত যেমন মন্তব্য করেন, ওয়াইফাইয়ের সুবিধে নিয়ে তাঁর এখন কয়েদখানায় বন্দি থাকার মতো অবস্থা। পরে অবশ্য তিনি টুইট করেন, ‘‘টেনিস খেলাটা সম্ভব করতে যাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই কোভিডের সঙ্গে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী লড়াই করছেন তাঁদেরও। আমাদের অবস্থা যাই হোক, অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসকরা এই কড়াকড়িটা করছেন ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতেই।’’ তিনি তাঁর আগের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন।
কাজ়াখস্তানের মহিলা প্রতিযোগী ইউলিয়া পুতিনস্তেভা (বিশ্বের ২৮ নম্বর) গত সপ্তাহেই মন্তব্য করেন, লকডাউন নিয়ে এতটা ‘বাড়াবাড়ি’ হচ্ছে জানলে তিনি অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলতে যেতেন না। হোটেলে তাঁর ঘরে আবার ইঁদুর ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। ইউলিয়া তার ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। পরে তাঁকে অন্য ঘরে স্থানান্তরিত করা হয়। দেখা যায়, সেখানেও একই গল্প। নতুন ঘরেও ইঁদুরের আনাগোনা অব্যাহত।