ম্যাচের বিরতিতে তিনি ব্যস্ত ছিলেন মাঠ পরিক্রমায়। স্ত্রী ঐশ্বর্যার সঙ্গে তা সেরে বক্সে ফিরলেন গোল খাওয়া নিয়ে বিষোদ্গার করতে করতে। কলকাতার সাংবাদিক পরিচয় দিতেই অভিষেক বচ্চন কিছুটা সময় একান্তে আড্ডা দিলেন আনন্দবাজারের সঙ্গে।
প্রশ্ন: কলকাতায় প্রো-কবাডি লিগে গিয়ে বলেছিলেন ঐশ্বর্যা বাড়িতে কবাডি খেলছে আরাধ্যার সঙ্গে। মা তো এখানে। মেয়ে কোথায়?
অভিষেক: (অট্টহাসি) বেশ মনে আছে তো আপনার। আরাধ্যাও চেন্নাইয়ে। হোটেলের ঘরে ঘুমোচ্ছে। হট্টগোলের জন্য আনলাম না।
প্র: আপনার দল এখানে কলকাতার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলছে, আর আপনার বাবা তখন কলকাতায় শুটিং করছেন। কলকাতা আবার আপনার মামার বাড়ির শহর।
অভিষেক: একদম। ড্যাডের সঙ্গে কাল রাতে এটা নিয়েই কথা হচ্ছিল। খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার কিন্তু।
প্র: রোম যখন পুড়ছিল নিরো তখন বীণা বাজাচ্ছিলেন। আর আপনার দল যখন হারছে তখন আপনি নাচছেন?
অভিষেক: মুখ গোমড়া করে তো আর বসে থাকতে পারি না। নিরো বুঝি না। দর্শকরা দলে দলে এসে রোজ স্টেডিয়াম ভরাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ তো রাখতেই হবে।
প্র: যে পেনাল্টি থেকে আপনারা পিছিয়ে গেলেন...?
অভিষেক: অ্যাবসোলিউটলি রাবিশ!
প্র: ম্যাচ শুরুর আগে আপনি টুইট করলেও ‘ঝক্কাস নান্দু’র স্নেক ডান্স তা হলে আজ আর হচ্ছে না?
অভিষেক: আরে আপনি কি দেখেননি, আমাদের বক্সের উল্টো দিকে যেখানে কলকাতার দর্শকরা বসে আছেন সেখানে গিয়েই তো স্নেক ডান্স নাচলাম। আর ম্যাচটা কিন্তু শেষ হয়নি। আগে শেষ বাঁশিটা তো বাজুক।
প্র: ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসে তা হলে কলকাতায় অ্যাওয়ে ম্যাচেও স্নেক ডান্স হবে, তাই তো?
অভিষেক: জরুর। কলকাতার স্টেডিয়ামটাও বড়। যাঁরা মাঠে আসেন তাঁরাও এই ফুটবল বিনোদন চেটেপুটে খান। ফুটবলের মক্কায় স্নেক ডান্স করব না, হয়?
প্র: ইউসেফ ইয়াকুবুকে চেনেন?
অভিষেক: সেটা কে?
প্র: আপনার শহরের দল মুম্বই এফসি-র হয়ে গতবারও আই লিগ খেলেছে। ভারতীয় ফুটবলে স্নেক ডান্স স্পেশ্যালিস্ট।
অভিষেক: আরে তাই নাকি! নম্বরটা দেবেন? তা হলে ওঁকে নিয়েই কলকাতা যাব স্নেক ডান্স করতে।
সব খেলার সেরা...। আটলেটিকো দে কলকাতা ও চেন্নাইয়ান এফসির খেলায় গ্যালারিতে অভিষেক-ঐশ্বর্যা। মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই