হর্ষ-বিষাদ: চ্যাম্পিয়ন নাপোলির উৎসব। (ডান দিকে) হতাশ রোনাল্ডো। এপি
করোনা-বিধ্বস্ত ইটালিতে উৎসব ফেরাল ফুটবল। তবে রোনাল্ডোর জুভেন্টাসের জন্য নয়, দিয়েগো মারাদোনার স্মৃতিজড়িত নাপোলির হাত ধরে।
মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশ নিষেধ। ফলে রোমে কোপা ইটালিয়ার ফাইনালে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে মাঠে বসে খেলা দেখার কোনও সুযোগই ছিল না নাপোলির সমর্থকদের। কিন্তু রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪-২ জয়ের পরে তাঁদের আর কেউ আটকে রাখতে পারেনি।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহাসিক পিয়াৎজ়া ত্রিয়াস্তে অ্যান্ড ত্রয়েন্তোতে প্রায় হাজার পাঁচেক নাপোলি সমর্থক জড়ো হন বুধবার রাতে। প্রিয় ক্লাবের জার্সি পরে পতাকা হাতে নিয়ে, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, আতসবাজি পুড়িয়ে বিজয়োৎসব করেন তাঁরা। যেন পুরনো সেই পৃথিবী। করোনার আগে যেমন ছিল। নাপোলির কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনও অভিনন্দন জানিেয়ছেন প্রাক্তন ক্লাবকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘‘তোমাদের সাফল্যে গর্বিত।’’ ২০১৪ সালের পরে কোনও ট্রফি জিততে পারেনি নাপোলি। তাদের এই দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের আসল নায়ক ম্যানেজার জেন্নারো গাত্তুসো। এই মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গাত্তুসোর রণনীতিতেই আটকে গিয়েছিলেন লিয়োনেল মেসি। বুধবার একই হাল হল রোনাল্ডোর। ম্যাচের ছ’মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন রোনাল্ডো। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন নাপোলি গোলরক্ষক আলেক্স মেরেত। এর পরে আর রোনাল্ডোকে বোতলবন্দি করে ফেলে নাপোলি। গাত্তুসোর তৈরি চক্রব্যূহে আটকে যান সি আর সেভেন।
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকায় সরাসরি টাইব্রেকার হয়। জুভেন্টাসের পাওলো দিবালার প্রথম শট শূন্যে শরীর ভাসিয়ে আটকান নাপোলি গোলরক্ষক। এর পরে লোরেনজ়ো ইনসাইনে ১-০ করেন। জুভেন্টাসের আর এক তারকা দানিলো লুইজ় দা সিলভার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। নাপোলির হয়ে ২-০ করেন মাতেয়ো পোলিতানো। জুভেন্টাসের হয়ে ১-২ করেন লিয়োনার্দো বোনুচ্চি। ৩-১ করেন নাপোলির নিকোলা মাকসিভোমিচ। এর পরে গোল করে অ্যারন র্যামসে ২-৩ করলেও জুভেন্টাসের হার বাঁচাতে পারেননি। নাপোলির হয়ে ৪-২ করেন আরকাদিউজ় মিল্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy