নিজের নামাঙ্কিত জ্যাভলিন প্রতিযোগিতা ‘এনসি ক্লাসিক’ হওয়ার কথা ছিল ২৪ মে। তবে দেশের স্বার্থের কথা ভেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেই প্রতিযোগিতা স্থগিত করে দিলেন নীরজ চোপড়া। অলিম্পিক্সে প্রাক্তন সোনাজয়ী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশের পাশে থাকাই তাঁর কর্তব্য।
শুক্রবার সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন নীরজ। জানিয়েছেন, এখনকার পরিস্থিতির কথা ভেবে এনসি ক্লাসিক অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক ভাবনাচিন্তা, আলোচনা করে এবং সবার কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নীরজ বলেছেন, “এই সঙ্কটজনক মুহূর্তে, দেশের পাশে শক্ত হয়ে দাঁড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের সব কৃতজ্ঞতা এবং প্রার্থনা রয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনির জন্য। ওরাই এখন দেশের মুখ। সঠিক সময়ে এনসি ক্লাসিকের সূচি প্রকাশ্যে আনা হবে।”
কিছু দিন আগে এই নীরজই সমালোচিত হয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের সোনাজয়ী আর্শাদ নাদিমকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। নাদিমকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জনতা। নীরজ এবং তাঁর পরিবারকে কটূক্তি করা হচ্ছিল। এর মাঝেই উত্তর দিয়েছিলেন নীরজ। অবাক হয়েছিলেন তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়।
আরও পড়ুন:
তখনও নীরজ সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছিলেন, “আরশাদ নাদিমকে এনসি ক্লাসিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। চারিদিকে শুধু ঘৃণা আর কটূক্তি। আমার পরিবারকেও ছাড়া হচ্ছে না। একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে আরশাদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। আমার লক্ষ্য ছিল এনসি ক্লাসিকের মাধ্যমে বিশ্বের সেরাদের ভারতে আনা। সব ক্রীড়াবিদের কাছে আমন্ত্রণ সোমবার পাঠানো হয়েছিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের আগেই আমন্ত্রণ চলে গিয়েছিল। পরের ৪৮ ঘণ্টায় যা ঘটেছে, তার পর আরশাদের এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
নীরজ লিখেছিলেন, “আমি খুব কম কথার মানুষ। তার মানে এই নয় যে, কোনও ভুল দেখলে কথা বলব না। আর যখন আমার দেশপ্রেম এবং পরিবারের সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তখন তো মুখ খুলবই। আমার কাছে দেশ সব সময় আগে। যে সব মানুষ নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের সমবেদনা জানাই। পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা নিয়ে গোটা দেশের মতো আমিও শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ। আমি এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী যে, আমার দেশ ঠিক এর জবাব দেবে এবং দেশের শক্তি প্রদর্শন করবে।”