ইপিএলেও দুরন্ত কোস্তা।
দলবদলের বাজারে জার্সি বদলেছেন। কিন্তু গোলের সামনে দাপট বদলাননি। গত মরসুমে আটলেটিকো মাদ্রিদের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বড় কারণ ছিল তাঁর বিধ্বংসী ফর্ম। এ বার চেলসি জার্সিতেও ধ্বংসের নাম দিয়েগো কোস্তা। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এ দিন পিছিয়ে পড়েও তাঁর হ্যাটট্রিকে সোয়ানসি সিটিকে ৪-২ গোলে হারাল চেলসি। ইপিএলে প্রথম চার ম্যাচে কোস্তার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৭। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখন শীর্ষে কোস্তাই।
প্রথমার্ধের শুরুতে জন টেরির আত্মঘাতী গোলে চমকপ্রদ ভাবে এগোয় সোয়ানসি। গোটা চেলসি দল যখন ব্যবধান বাড়াতে পুরোদমে চেষ্টা করছিল, ঠিক তখনই জ্বলে উঠলেন কোস্তা। বিরতির ঠিক আগেই কর্নার থেকে হেড দিয়ে ১-১ করলেন। দ্বিতীয়ার্ধে আবার জোড়া গোল করে ম্যাচ একতরফা লড়াইয়ে পরিণত করেন চেলসির ‘নতুন দ্রোগবা’। যে নামে আজকাল বিশ্বজুড়ে ডাকা হচ্ছে কোস্তাকে। চেলসি কিংবদন্তি দ্রোগবার মতোই শক্তিশালী কোস্তা। একা হাতে সামলাতে পারেন ফরোয়ার্ড লাইন। সঙ্গে আছে গোল করার স্বভাব। নীল জার্সিতে যেমন বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন দ্রোগবা, কোস্তাও এখন সে ভাবেই নাজেহাল করছেন বিপক্ষ রক্ষণকে।
যা দেখে বিস্মিত চেলসি কোচ হোসে মোরিনহোও!
‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’ শনিবার ম্যাচের পর জানিয়ে দিলেন যে তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি, কোস্তা প্রথম চার ম্যাচেই সাত গোল করে ফেলবেন! “আমি জানতাম কোস্তা দুর্দান্ত স্ট্রাইকার। ও গোল করতে পারে বলেই তো ওকে চেলসিতে সই করিয়েছিলাম। কিন্তু আমিও ভাবতে পারিনি, প্রথম কয়েক ম্যাচে এত গোল করবে ও।” টানা চার ম্যাচ জিতে এখন লিগ শীর্ষে চেলসি।
যে দিন মোরিনহো জয় পেলেন, প্রিমিয়ার লিগের আরও দুই মহারথী আর্সেনাল ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির যুদ্ধ শেষ হল ২-২ ড্রয়ে। শনিবার প্রথমার্ধে সের্জিও আগেরোর গোলে ১-০ এগোয় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। কিন্তু বিরতির পরেই সমতা ফেরান আর্সেনাল তারকা জ্যাক উইলশেয়ার। আর্সেনালকে তার পর ২-১ এগিয়ে দেন আলেক্সিস সাঞ্চেজ। কিন্তু মার্টিন ডেমিশেলিসের গোলে ২-২ শেষ হয় এই মহারণ। আর্সেনাল অভিষেকে বারপোস্টে বল মারলেও গোল করতে পারেননি ড্যানি ওয়েলবেক।
টানা তিন ম্যাচ ড্র করে আবার রক্ষণকেই দায়ী করলেন আর্সেনালের ফরাসি কোচ। ম্যাচের পর আর্সেন ওয়েঙ্গার বলে দিলেন, “এগিয়ে গিয়েও জিততে পারলাম না। রক্ষণ আরও ভাল হওয়া দরকার। না হলে পরে সমস্যা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy