Advertisement
E-Paper

গড়াপেটা নিয়ে বিস্ফোরক শোয়েব, তোপ আমিরদের

শোয়েবের এমন চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের নিশানা পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরাই। যাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে গড়াপেটার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এবং কেউ কেউ শাস্তিও পেয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৩
শোয়েব আখতার। —ফাইল চিত্র

শোয়েব আখতার। —ফাইল চিত্র

পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলে নিজের প্রাক্তন সতীর্থদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শোয়েব আখতার। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলে দিলেন, তাঁকে ২১ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হত। ১১ জন প্রতিপক্ষ ক্রিকেটার এবং তাঁর দলের ১০ সতীর্থ। কেন এমন? শোয়েব বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমার আশেপাশে তো সব সময় ম্যাচ গড়াপেটার পাণ্ডারা থাকত!’’

শোয়েবের এমন চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের নিশানা পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরাই। যাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে গড়াপেটার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এবং কেউ কেউ শাস্তিও পেয়েছেন। বিশেষ করে তিনি তোপ দেগেছেন দুই কলঙ্কিত পেসার মহম্মদ আমির এবং মহম্মদ আসিফের বিরুদ্ধে। ‘‘আমি সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি, দেশের হয়ে খেলতে নেমে কখনও প্রতারণা করতে পারি না। কখনও ম্যাচ গড়াপেটা করার কথা ভাবতেও পারি না। কিন্তু আমার চারপাশে তো গড়াপেটার পাণ্ডারা ছিল। আমি ২১ জনের বিরুদ্ধে খেলতাম। প্রতিপক্ষের ১১ জন, আমাদের বাকি ১০ জন। কে জানত, কে গড়াপেটার করত না!’’

পাকিস্তানের একটি ‘টক শো’-তে করা শোয়েবের মন্তব্য ইতিমধ্যেই ক্রিকেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছে। ম্যাচ গড়াপেটার কারণে বার বারই পাক ক্রিকেট কলঙ্কিত হয়েছে। লর্ডসে আমিরের সেই কুখ্যাত ‘নো বল’ অধ্যায় কেউ ভোলেননি। সেই সময় গড়াপেটার কলঙ্কে জড়ানো আমির, আসিফ এবং তাঁদের দলের অধিনায়ক সলমন বাট তিন জনেই নির্বাসিত হন। পরে আমিরের শাস্তি কমিয়ে দেয় আইসিসি এবং তিনি ফিরে এসে দারুণ বোলিং করে হারানো সম্মান কিছুটা পুনরুদ্ধার করেন। ২০১৭-তে ইংল্যান্ডে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের নায়কও হয়ে ওঠেন আমির। যদিও শোয়েব ক্ষমার চোখে দেখতে নারাজ। বলে দিচ্ছেন, ‘‘সেই সময় কত ম্যাচ যে গড়াপেটা হয়েছিল, হিসাব নেই। আসিফ নিজে আমাকে বলেছিল, কত ম্যাচ ওরা গড়াপেটা করেছিল এবং কী ভাবে করেছিল।’’

ইংল্যান্ডে আসিফ এবং আমির ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন শোয়েব। ‘‘আমি ওদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কী দারুণ প্রতিভা ছিল ওরা। পুরো নষ্ট হয়ে গেল। আমি যখন শুনেছিলাম, ওরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে খুব রেগে গিয়েছিলাম। এতটাই হতাশ হয়েছিলাম যে, আমি দেওয়ালে সজোরে ঘুষি মারি।’’ ৪৪ বছরের প্রাক্তন ফাস্ট বোলারের আক্ষেপ, ‘‘পাকিস্তানের সেরা দুই পেস প্রতিভা ছিল আমির-আসিফ। দারুণ বল করত, বুদ্ধিমান বোলারও ছিল। দেশের জন্য আদর্শ দুই ফাস্ট বোলার। কিন্তু শেষ হয়ে গেল। অল্প কিছু টাকার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিল ওরা।’’

Shoaib Akhtar Match Fixing Mohammad Amir Mohammad Asif
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy