স্বস্তির আলিঙ্গন বিরাট-এবি-র। ছবি: বিসিসিআই।
তিনি না কি তাঁর আসল মেজাজে নেই!
এতদিন তাঁর ভক্তরা এমনই অভিযোগ করে আসছিলেন।
দিন দশেক আগেই জবাব দিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৩৩-এর এক বিধ্বংসী সাইক্লোন ইনিংস খেলে।
বুধবার পুণেয় ফের তাঁর ব্যাটে ঝড় উঠল। এ বার সেই ঝড়ের শিকার রাজস্থান রয়্যালস।
তিনি এবিডি। এবি ডে’ভিলিয়ার্স।
মূলত তাঁর ৩৮ বলে ৬৬-র ইনিংসই শেন ওয়াটসনদের আইপিএল ফাইনালের রাস্তা থেকে ছিটকে দিল। আর এলিমিনেটর জিতে বেঙ্গালুরু আইপিএল ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকল।
ডে’ভিলিয়ার্সকে সঙ্গ দিলেন মনদীপ সিংহ (৩৪ বলে ৫৪)। তাঁদের ১১৩-র পার্টনারশিপই আরসিবি-র জয়ের অর্ধেক ইমারত তৈরি করে দিল। ভারতীয় তরুণের কথা স্বীকার করতে ভোলেননি এবিডি। ম্যাচের সেরার ট্রফি নিয়ে বলেন, ‘‘১৮০ কী করে তুললাম জানি না। টার্গেট ছিল ১৪০। বাকিটা মনদীপের কৃতিত্ব। ও-ই ম্যাচের সেরা। তাই আমার পুরস্কারটা ওকেই দিলাম।’’ শুক্রবার রাঁচিতে বিরাট কোহলি বনাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ভারতের টেস্ট অধিনায়ক ও ওয়ান ডে অধিনায়কের দলের এই দ্বৈরথের জয়ীরাই রবিবার ইডেনে আইপিএল খেতাবের যুদ্ধে নামবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। বিরাট কোহলি সে দিকেই তাকিয়ে। জয়ের পর বললেন, ‘‘গত বারের চেয়ে এ বার আমরা অনেক ভাল খেলেছি। তাই এ বার এটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। পরের ম্যাচটা আমাদের কাছে সেমিফাইনাল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’’
চোদ্দো ওভারে ৯৪-২ থেকে কুড়ি ওভার শেষে ১৮০— শেষ ছ’ওভারের এই সাইক্লোনই ম্যাচের তফাত গড়ে দেয়। টার্গেটে পৌঁছনোর ৭২ রান আগেই শেষ রাজস্থান রয়্যালস। শেন ওয়াটসন ইনিংসের শুরুতেই ফিরে যেতে যে চাপে পড়ে যায় তারা, সেই চাপ আর সামলাতে পারলেন না তাঁর সতীর্থরা। শেন ওয়াটসন দশ রানে অরবিন্দের বলে দীনেশ কার্তিকের গ্লাভসে ধরা পড়ে যাওয়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। তখন দলের রান ১৪। সেখান থেকে আর লড়াইয়ে ফেরা যায়নি।
বান্ধবী অনুষ্কা শর্মা গ্যালারিতে থাকলেও ব্যাটিংয়ে ‘লেডি লাক’ এ দিন কাজে এল না বিরাটের (১২)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরসিবি ম্যাচ জেতায় হাসি মুখেই মাঠ ছাড়লেন অনুষ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১৮০-৪ (ডে’ভিলিয়ার্স ৬৬, মনদীপ ৫৪ ন.আ, কুলকার্নি ২-২৮)
রাজস্থান রয়্যালস ১০৯ (রাহানে ৪২, পটেল ২-১৫)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy