টেস্ট থেকে তিনি অবসর নিতে পারেন। গত বেশ কিছু দিন তাঁর সেনা প্রশিক্ষণের খবরে উঠতে পারে হইচই। তবে বিরাট কোহলির হাতে অধিনায়কের ব্যাটন তুলে দেওয়ার পর শত ব্যস্ততার মাঝেও ভারতীয় টেস্ট দলের খুঁটিনাটি যে তাঁর নখদর্পণে, বুঝিয়ে দিলেন রবিবার। তিনি— মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
‘‘আমাদের সমর্থন করে যান। আমাদের দলটা ভাল। তবে টিম এখন অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা পাশে থাকলে আমরা ভাল ফল করে যাব,’’ নিউ জার্সিতে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির ঘুরতে এসে বলেন ধোনি। তাঁর এই আবেদন এল ঠিক যখন শ্রীলঙ্কায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের সামনে কোহলির টিম ইন্ডিয়া।
মার্কিন মুলুকে এলে সাধারণত জনসমক্ষে আসেন না ধোনি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই চান। তবে এ দিন ব্যতিক্রম ছিল। সস্ত্রীক মন্দিরে পূজো দেওয়ার পর ধোনি নিজেই তা বলেন, ‘‘অনেক দেশে ঘুরেছি। তবে তার মধ্যে বেশির ভাগই ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ। যুক্তরাষ্ট্রে এ রকম সফর প্রথম।’’
জিন্স ও টি-শার্টে টিম ইন্ডিয়ার ওয়ান ডে ক্যাপ্টেনকে দেখে অনুষ্ঠানে থাকা শ’দুয়েক প্রবাসী ভারতীয়ও উচ্ছ্বসিত। সেলফির পাশাপাশি দেদার অটোগ্রাফের আবদারও মেটাতে হয় ধোনিকে। বিদেশে থাকলেও তাঁদের ভারতীয় সংস্কৃতিকে ধরে রাখার আন্তরিক প্রচেষ্টা দেখে অভিভূত ধোনি।
ধোনি জানান, মার্কিন মুলুকে ক্রিকেট ততটা জনপ্রিয় না হওয়ায় তাঁকে সে দেশে ক্রিকেট ঠিক কেমন খেলা, সেটা বোঝাতে বেসবলের সঙ্গে তুলনা করতে হয়। নিজের শহর রাঁচি নিয়েও ঠিক একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। কেরিয়ারের শুরুর দিকে বিদেশে প্রথম খেলতে যাওয়ার সময়ে একজনকে ধোনি রাঁচির কথা বলছিলেন। লোকটি ভুল করে তা করাচি ধরে বসেন। ধোনিকে তখন নিজের শহর চেনাতে বসতে হয়।
দু’ঘণ্টার অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিশুদের সাংস্কৃতিক নাচও ছিল। তবে যে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে ধোনি পূজো দেন, তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। চলতি বছরের শেষের দিকে সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরটি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।