Advertisement
E-Paper

আসল রহস্য কোর্টের বাইরেও আমাদের বন্ধুত্ব

‘‘আমি যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, তা হলে ফিরে এসে আপনাকে ইন্টারভিউ দেব,’’— এই ছিল তাঁর প্রতিশ্রুতি। সানিয়া মির্জা সত্যি সত্যিই অস্ট্রেলীয় ওপেন ডাবলস খেতাব জেতার পর আনন্দবাজারকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করালেন না শুক্রবার।

কুন্তল চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৪৪

‘‘আমি যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, তা হলে ফিরে এসে আপনাকে ইন্টারভিউ দেব,’’— এই ছিল তাঁর প্রতিশ্রুতি। সানিয়া মির্জা সত্যি সত্যিই অস্ট্রেলীয় ওপেন ডাবলস খেতাব জেতার পর আনন্দবাজারকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করালেন না শুক্রবার। ফাইনালের পর গ্র্যান্ড স্ল্যামের নিয়মমাফিক ডোপ পরীক্ষা, আরও কয়েকটা কাজ সামলে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন মেলবোর্নে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে বসে। যেখানে প্রতিবার অস্ট্রেলীয় ওপেন খেলতে এসে থাকেন তিনি।

প্রশ্ন: উইম্বলডন, তার পরে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন, এ বার অস্ট্রেলীয় ওপেন। ঠিক কতটা কঠিন টানা তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা?

সানিয়া: শেষ পাঁচ-ছয় মাস আমরা কোনও ম্যাচে হারিনি। আমরা সম্ভবত জীবনের সেরা টেনিসটা খেলছি। আমি ব্যাপারটা এ ভাবে দেখছি যে, আমরা নিজেদের প্রত্যাশাও ছাপিয়ে গিয়েছি। গ্র্যান্ড স্ল্যাম হ্যাটট্রিক করাটা সত্যিই অসাধারণ প্রাপ্তি।


প্র: টানা তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা তা-ও হয়তো ভাবা সম্ভব। কিন্তু টানা ৩৬ ম্যাচ জিতে চলাটা প্রায় অলৌকিক। অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার মতোই কঠিনতম কাজ। আপনি কী বলেন?

সানিয়া: আমার কাছে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আমি আর মার্টিনা আমাদের জয়ের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যেতে চাই। আসলে আমরা ছোট ছোট টার্গেট তৈরি করে সেটার পিছনে তাড়া করি। সেগুলোই জমতে জমতে একটা বড় প্রাপ্তি হয়ে যায়। বলটাকে গড়িয়ে নিয়ে যেতে পারাটাই আসল।

প্র: আপনার টেনিসজীবনে মার্টিনা হিঙ্গিস কতটা অনুপ্রেরণা?

সানিয়া: আমরা কোর্টে একে অন্যকে সব রকম ভাবে সাহায্য করি। একে অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠেছি। যেটা সব জুটিই হয়ে ওঠার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু আমাদের মধ্যে যেটা স্পেশ্যাল— আমরা কোর্টের বাইরেও একে অন্যের ভীষণ ভাল বন্ধু। সে আমরা বয়সে যতই ছয়-সাত বছরের ছোট-বড় হই না কেন! কোর্টের বাইরেও আমাদের এই বন্ধুত্বটাই খেলার সময় আমাদের বাড়তি সাহায্য করে থাকে। এত বড় বড় সব টুর্নামেন্টে আপনাকে ডাবলসে সফল হতে হলে নিজের সঙ্গীকে খুব ভাল ভাবে চেনাটা ভীষণ জরুরি।

প্র: আপনার সাফল্য ভারতে বাচ্চা মেয়েদের টেনিস র‌্যাকেট হাতে তুলে নিতে অনুপ্রেরণা জোগায়। এটাকেই কি আপনার সবসেরা স্ট্র্যাটেজিক সাফল্য বলে নিজে মনে করেন?

সানিয়া: আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব, যদি আমাকে দেখে ভারতের একটাও বাচ্চা মেয়ে টেনিস র‌্যাকেট হাতে তুলে নেয়। বিশ্ব টেনিসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার কাছে সবচেয়ে গর্বের। সেখানে আমাকে যদি কেউ আদর্শ করে, তার চেয়ে বেশি আমি আর কী চাইতে পারি!

প্র: আপনি টানা তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেও আমাদের দেশের প্রত্যেক ক্রীড়াপ্রেমী আপনাকে রিও অলিম্পিক্সের পদকের মঞ্চে দেখতে সবচেয়ে আগ্রহী!

সানিয়া: আমি এই মাত্র অস্ট্রেলীয় ওপেন জিতে উঠলাম। অলিম্পিক্স এখনও অনেক দূর। তবে প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে অলিম্পিক্স পদক জেতা। আমিও সেই দলের বাইরে নই। এবং সেটা সম্ভবও।

প্র: তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের মধ্যে কোনটা জিততে সবচেয়ে কঠিন লেগেছে? কোন খেতাবটা স্পেশ্যাল?

সানিয়া: প্রতিটা গ্র্যান্ড স্ল্যামই স্পেশ্যাল। কোই ভি মামুলি বাত নেহি। একটাও সহজ নয় জেতা। তবে উইম্বলডন ফাইনালে আমরা মীমাং‌সাসূচক সেটে ২-৫ পিছিয়ে পড়েছিলাম। সেখান থেকেও উঠে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হই। যে জন্য ওই খেতাবটা আমার কাছে একটু হলেও বেশি স্পেশ্যাল।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy