(বাঁ দিকে) নোভাক জোকোভিচ এবং কার্লোস আলকারাজ়। —ফাইল চিত্র।
ঝুলিতে ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। সঙ্গে সাতটি ট্যুর ফাইনাল খেতাব। অথচ ২১ বছরের পেশাদার জীবনে কখনও অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠতে পারেননি নোভাক জোকোভিচ। প্যারিসে প্রথম বার সোনা জেতার সুযোগ তাঁর সামনে। সেই লড়াইয়ে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ কার্লোস আলকারাজ়।
২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন জোকোভিচ। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক্স এবং গত টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে হেরে গিয়েছিলেন। আর ২০১৬ সালে রিয়ো অলিম্পিক্সের প্রথম রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন। গ্র্যান্ড স্ল্যাম, টুর ফাইনাল খেতাব, ডেভিস কাপ সব জিতেছেন সার্বিয়ার টেনিস খেলোয়াড়। অধরা শুধু অলিম্পিক্সের সোনা। এ বার তাঁর সামনে অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রথম সুযোগ। কাঙ্ক্ষিত সোনা এবং জোকোভিচের মধ্যে দেওয়ালের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছেন আলকারাজ়। গত দু’মাস ধরে চেনা ফর্মে রয়েছেন স্পেনের তরুণ।
রবিবার সোনার পদকের লড়াইয়ে নামবেন জোকোভিচ-আলকারাজ়। জোকারের পঞ্চম অলিম্পিক্স হলেও আলকারাজ় এ বারই প্রথম। সেমিফাইনালে লোরেনজ়ো মুসেত্তির বিরুদ্ধে ৬-৪, ৬-২ ব্যবধানে জিতেছেন জোকোভিচ। দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়েছেন রাফায়েল নাদালের মতো প্রতিপক্ষকে। ভাল ফর্মে রয়েছেন সার্ব তারকা। আত্মবিশ্বাসী জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক্সের সোনার পদকের জন্য ২০ বছর অপেক্ষা করছি। আগে চারটে অলিম্পিক্সে খেলেছি। এটা আমার পঞ্চম অলিম্পিক্স। অথচ কখনও অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালের বাধা টপকাতে পারিনি। আগের চারটে অলিম্পিক্সের তিনটির সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছি। অবশেষে এ বার টপকাতে পেরেছি। সত্যি বলতে, এ বার সেমিফাইনালে আগে বার বার পুরনো ব্যর্থতার কথা মনে পড়েছে। বেশ চাপে ছিলাম।’’
গত উইম্বলডন ফাইনালে আলকারাজ়ের কাছে হেরেছিলেন। তার আগে ফরাসি ওপেনও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন স্পেনের তরুণ খেলোয়াড়। সেই লাল সুরকির কোর্টেই অলিম্পিক্স ফাইনাল। সেমিফাইনাল জিতে চাপ মুক্ত জোকোভিচ এ সব নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর ভাবনায় শুধু সোনার পদক। ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সের সময় বয়স হবে ৪১। জোকোভিচ ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy