এশিয়ান হিসেবে টেস্টে দ্রুততম একশো উইকেট ইয়াসির শাহর। (ইনসেটে) দেবেন্দ্র বিশু। ছবি: এএফপি
মিগুয়েল কামিনসের স্টাম্প ছিটকে ঝুলিতে শততম উইকেট পুরে ফেললেন ইয়াসির শাহ। সঙ্গে মুকুটে একটা পালকও। টেস্টে দ্রুততম একশো শিকারের। এটা অবশ্য এশীয় রেকর্ড। যেটা এত দিন ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দখলে। ১৮ টেস্টে ১০০ উইকেট নেন ভারতীয় অফস্পিনার। তাঁর রেকর্ড ভেঙে যাওয়ায় অবশ্য হতাশ নন তিনি। বরং ইয়াসিরকে তিনি টুইট করেন, ‘‘একটু দেরিই করে ফেললে বোধহয়। বাট ভেরি ওয়েল ডান। এ বার দুশোর দিকে এগোও।’’
বিশ্বরেকর্ডটা হয়েছিল ১৮৯৬-তে। ইংল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার জর্জ লোম্যান একশো টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন ১৬ ম্যাচ খেলে। এই তালিকায় দু’নম্বরে এখন ইয়াসির। তবে একা নন, সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার চার্লি টার্নার ও ক্ল্যারি গ্রিমেট আর ইংল্যান্ডের সিডনি বার্নস। এঁরা সবাই ১৭ টেস্ট খেলে শিকারের সেঞ্চুরি করেছেন। ২০১৪ অক্টোবরে যে মাঠে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ইয়াসিরের, দুবাইয়ের সেই মাঠেই শততম উইকেট পেলেন তিনি। এর আগে সইদ আজমল ১৯ টেস্টে একশো উইকেট নিয়েছিলেন। পাকিস্তানে সেটাই ছিল এত দিনের রেকর্ড।
এশিয়ার বুকে গোলাপি বলের প্রথম টেস্ট ক্রমশ ঘটনাবহুল হয়ে উঠছে। যে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৫৭৯-৩ তুলে ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল, তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৩-এ অল আউট। ইয়াসির শাহর পাঁচ উইকেটের জবাব দেবেন্দ্র বিশুর আট। পাক ব্যাটিংয়ে রীতিমতো ধস নামিয়ে দেন বিশু। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই তাঁর সেরা বোলিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এ দিন প্রথম ইনিংসে ৩৫৭ রানে অল আউট করে দেয় পাকিস্তান। যে ম্যাচ ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল, সেই ম্যাচে এখন শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য ৩৪৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯৫-২।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy