ঠিক ৩৫৮ দিন আগে তিনি ছিলেন প্যারিসে। স্পেনকে হারিয়ে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিল ভারত। সতীর্থদের কাঁধে চেপে উৎসবের মাঝে দেশবাসীকে কাঁদিয়ে অবসর ঘোষণা করেছিলেন পি আর সৃজেশ। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের ১০৬তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সেই স্মৃতিচারণে ভেসে যাচ্ছিলেন অলিম্পিক্সে দু’বারের ব্রোঞ্জজয়ী হকি তারকা। তবে ‘ভারত গৌরব’ সম্মানে সম্মানিত হওয়ার পরে দর্শকদের আসল চমক দিলেন সৃজেশ।
ভারতে ক্রিকেটকে মানা হয় ধর্ম হিসেবে। হকি তারকা হলেও নিজেকে কিন্তু সৃজেশ ধারালো করেছেন দুই ক্রিকেটীয় মহাতারকার আদলে। প্রথম জনের নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁর থেকে তিনি শিখেছেন আগ্রাসন। দ্বিতীয় জনের নাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, যাঁকে দেখে চাপের মুখেও কী ভাবে মস্তিষ্ক বরফ-শীতল রাখা যায় সেই পাঠ নিয়েছেন পদ্মভূষণ প্রাপ্ত সৃজেশ। তিনি বলেন, “দাদার (সৌরভ) লর্ডসের মাঠে জার্সি খুলে ওড়ানোর দৃশ্য আজও প্রেরণা দেয়। ধোনির শান্ত স্বভাবেরও আমি ভক্ত। তাঁদের দেখে আমি নিজেকে ধারালো করেছি।” সৃজেশকে ইস্টবেঙ্গলের তরফে জার্সি পরিয়ে সম্মান জানান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
পাশাপাশি স্মরণ করা হল প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের এক অবিস্মরণীয় কীর্তির। যুগ বদলে গেলেও যা আজও অমর হয়ে রয়েছে। ১৯৭৫ সালের আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে এগারো জন লড়াকু যোদ্ধার ৫-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। অজানা কাহিনি তুলে ধরেন সমরেশ চৌধুরী, শ্যাম থাপা, গৌতম সরকার, তরুণ বসু, রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়।
বর্ষসেরা কোচের সম্মান পেলেন সঞ্জয় সেন এবং অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুস। বর্ষসেরা পুরুষ ও মহিলা ফুটবলার হয়েছেন সৌভিক চক্রবর্তী এবং সৌম্যা গুগুলথ। ‘প্রাইড অব বেঙ্গল’ সম্মান দেওয়া হল সঙ্গীতা বাসফোরকে। সেরা উদীয়মান ফুটবলার পি ভি বিষ্ণু। ছয় দিন আগে ডার্বি জয়ী দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পরিবর্তন: ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন করার বার্তা অস্কারের। রয়েছেন বাকি ফুটবলাররাও। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
শেষে ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’ ধ্বনিতে মাতোয়ারা হয়ে মঞ্চে উঠল সিনিয়র দল। কোচ অস্কার ব্রুসো পরিবর্তনের ডাক দিয়ে হুঙ্কার দিলেন, “এই বছর আমাদের চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে। এটা পরিবর্তনের বছর।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)