প্রত্যাবর্তনের প্রথম ইনিংসে ৪২। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৬৭। আট বছর পরে ভারতীয় টেস্ট দলে ফিরে এসে পার্থিব পটেলকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় মানিয়ে নিতে একটুও সমস্যা পড়তে হয়নি। এবং তার জন্য পার্থিব ধন্যবাদ দিচ্ছেন তাঁর সতীর্থদের। ‘‘এত দিন বাদে ভারতীয় টিমের ড্রেসিংরুমে ফেরার পর আমার এতটুকু অস্বস্তি হয়নি। আট বছর বাদে টেস্ট ক্যাপ পরে মাঠে নামার আগে যে কেউ স্বাভাবিক ভাবেই নার্ভাস থাকবে। আমিও ছিলাম। কিন্তু যে ভাবে টিমের সবাই আমাকে স্বাগত জানিয়েছিল, তাতেই আমি টেনশন মুক্ত হয়ে যাই। মনেই হয়নি এত দিন বাদে টেস্ট খেলতে নামছি।’’ বিসিসিআই টিভি-কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন পার্থিব।
শুধু আট বছর পরে ফেরাই নয়, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোহালি টেস্টে ভারতের জয়ের রানটাও এসেছে পার্থিবের ব্যাট থেকে। যা নিয়ে তিনি বলছেন, ‘‘অবশ্যই অনুভূতিটা দারুণ। এর আগে আমি অনেক টেস্ট খেললেও কখনও উইনিং হিটটা মারিনি। যে কোনও অবস্থাতেই উইনিং শট মারার অনুভূতিটা দারুণ। আর সেটা যদি আট বছর বাদে ভারতীয় দলে ফিরে হয়, তা হলে তো কথাই নেই। উল্টো দিকে বিরাট ছিল। ও এগিয়ে এসে বলল, তুই উইনিং শটটা মারায় আমার খুব ভাল লেগেছে।’’ তাঁর অধিনায়ক এবং সতীর্থদের ধন্যবাদ দিয়ে পার্থিব বলছেন, ‘‘দেশের হয়ে খেলার থেকে বড় সম্মানের আর কিছু হতে পারে না। আর এক বার দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর দেশের জার্সিটা আবার গায়ে তোলা কিন্তু খুব কঠিন ব্যাপার। বিরাট আর বাকিরা আমার কাজটা খুব সহজ করে দিয়েছিল।’’
ভারতের হয়ে সফল প্রত্যাবর্তনের রেসিপি হিসেবে পার্থিব তুলে আনছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। ‘‘টানা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে চলেছি বলে নিজের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে ভাল মতো ওয়াকিবহাল ছিলাম। নিজের প্রতি আস্থা ছিল, সুযোগ পেলে ভাল করব। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমি খুব ভাল ফর্মে ছিলাম। এই সুযোগটা হারাতে চাইনি। টেস্টেও নিজের ভাল ফর্মটা ধরে রাখতে চেয়েছিলাম।’’
পার্থিব জানাচ্ছেন, প্রথম ইনিংসের রানটা তাঁকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল। ‘‘আসল রানটা করা। রান পেয়ে গেলে নিজের আর টিমের উপর থেকে অনেকটা চাপ হালকা করে দিতে পারবেন। প্রথম ইনিংসে ভাল ব্যাট করেছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রয়োজন ছিল সেই একাগ্রতা ধরে রাখার। বিশেষ করে যখন টিম একটা লো স্কোর তাড়া করছে। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে রানটা পেয়ে খুব ভাল লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy