পদক জয়ের পরে। নিজস্ব চিত্র।
এক চিলতে অনুশীলন ঘর। পলেস্তরা খসা। অনুশীলন হয় ম্যাটের বদলে ছেঁড়া গদিতে। তাতেই রাজ্যজয়।
রবিবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬৭তম রাজ্য জিমন্যাস্টিক চ্যম্পিয়ানশিপ। ওয়েস্টবেঙ্গল জিমন্যাস্টিক অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত রাজ্য স্তরের ওই প্রতিযোগিতার অ্যাক্রোবেটিক জিমন্যাস্টিকে জুনিয়ার ও সিনিয়ার বিভাগ মিলিয়ে মোট চোদ্দটি সোনা এবং তিনটি ব্রোঞ্জ পদক পেল নবদ্বীপের ছেলেমেয়েরা। সোনাজয়ী চোদ্দো জনই জাতীয় জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়ানশিপে যোগ দেবে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৯৬ জন প্রতিযোগীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতার জন্য। নদিয়া জেলার হয়ে যোগদানকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে একটি বড় অংশই নবদ্বীপ শক্তি সমিতি ক্রিয়েটিভ জিমন্যাস্টিক অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ৬৭তম রাজ্য জিমন্যাস্টিকে ওই অ্যাকাডেমির সাত থেকে একুশ বছর বয়সী মোট উনিশ জন প্রতিযোগী যোগ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সতেরো জনই পদক পেয়েছেন।
অ্যাকাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক অভিজিৎ দেবনাথ জানান, এ বারের প্রতিযোগিতায় আক্রোবেটিক জিমন্যাস্টিকে মোট পাঁচটি বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন নবদ্বীপের ছেলেমেয়েরা। উইমেন পেয়ার, মেন্স পেয়ার, মিক্সড পেয়ার, উইমেন ট্রায়ো এবং মেন্স গ্রুপ ইভেন্টের মধ্যে জুনিয়ার অর্থাৎ অনূর্ধ্ব ষোলো বিভাগে আটটি এবং সিনিয়ার বিভাগে ছটি সোনা জিতে নেয় নবদ্বীপ।
কেন এ ভাবে ওঁদের জন্য সময় দিচ্ছেন? ঢপওয়ালি মোড়ে অনুশীলন ঘরে বসে অভিজিৎ দেবনাথ বলেন, “২০০৭ সালে নির্বাচিত হয়েও এশিয়ান গেমসে যেতে পারিনি টাকার জন্য। দেখি না ওরা যদি পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy