ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ কে হবেন, তা সম্ভবত মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সারা বিশ্ব থেকে ২৭০ জন কোচ আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ১২২ জনের ‘প্রো লাইসেন্স’ রয়েছে। আজ, মঙ্গলবার জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অভিষেক যাদব ও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারা ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদনকারী কোচেদের মধ্যে থেকে কয়েক জনকে বেছে নিয়ে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করবেন।
এশিয়ান কাপ থেকে বিদায়ের পরেই জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। এর পরেই নতুন কোচের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় এআইএফএফ। সুইডেনের স্বেন গোরান এরিকসন, ফ্রান্সের রোমো দমিনেচ, ইংল্যান্ডের স্যাম অ্যালার্ডেস, ইতালির জিয়োভান্নি দে বিয়াজি, ভেনেজ়ুয়েলার সিজার ফারিয়াস থেকে প্রথম আইএসএলে এটিকে-কে চ্যাম্পিয়ন করা আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস ও বেঙ্গালুরু এফসি-র প্রাক্তন কোচ আলবের্তো রোকা-সহ একাধিক নাম রয়েছে আবেদনকারীর তালিকায়।
সুনীল ছেত্রীদের নতুন কোচ নির্বাচনের প্রক্রিয়া কী? ফেডারেশন সূত্রে খবর, প্রাথমিক তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখা হবে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও সাফল্য। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তাঁরা কতটা ওয়াকিবহাল। প্রাথমিক তালিকা তৈরি হওয়ার পরে কোচেদের সঙ্গে তাঁদের আর্থিক দাবি কথা বলবেন ফেডারেশনের কর্তারা। তাঁদের যুক্তি, ‘‘জাতীয় দলের কোচের বেতন ফেডারেশন ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক যৌথভাবে দেয়। ফলে আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পরবর্তীকালে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য আগে থেকেই আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলে নেওয়া হয়।’’ এর পরেই দ্বিতীয় তালিকা তৈরি করা হয় ইন্টারভিউয়ের জন্য। ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যেরা ইন্টারভিউ নেন। তাঁরা কোচের নাম সুপারিশ করেন এগজিকিউটিভ কমিটির কাছে। ফেডারেশনের এই সর্বোচ্চ কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রাথমিক তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্য টেকনিক্যাল কমিটির কোনও মতামত নেওয়া হয় না। এক সদস্য বললেন, ‘‘প্রাথমিক তালিকা তৈরির করার আগে আবেদনকারী কোচেদের বায়োডাটা আমাদের দেখালে সুবিধে হত। বড় নাম নয়, আমরা চাই এমন এক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হোক, যাঁর কোচিংয়ে ভারতীয় ফুটবলের
উন্নতি হবে।’’
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রোকার কোচ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীরও পছন্দ তিনি। বেঙ্গালুরুতে কোচিং করানোর সুবাদে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কেও ধারণা রয়েছে। যদিও ফেডারেশনের কর্তারা অনেকেই তা মানছেন না। তাঁদের কথায়, ‘‘রোকা যে এগিয়ে রয়েছেন, তা বলার মতো সময় আসেনি। অনেক বিখ্যাত কোচ আবেদন করেছেন। তাই সব দিক বিচার করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
নেওয়া হবে।’’
বয়স ভাঁড়ানোয় শাস্তি: বয়স ভাঁড়ানো কাণ্ডে ফের কলঙ্কিত ভারতীয় ফুটবল। অনূর্ধ্ব-১৩ যুব লিগ শুরু হওয়ার আগে আইজল এফসি, নেরোকা এফসি, লাজং এফসি ও মিনার্ভা এফসি-র ফুটবলারেরা ধরা পড়ল হাড়ের পরীক্ষায়। চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে আইজল, নেরোকা ও লাজং এই তিনটি ক্লাবই উত্তরপূর্বাঞ্চলের।
ফেডারেশনের কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘ধৃত ফুটবলাররা উত্তরপূর্বাঞ্চলের ক্লাবগুলোতে খেলে। যারা ধরা পড়েছে তাদের এখানে খেলতে দেওয়া হবে না।’’