ম্যাচ শেষে করিম বেঞ্চারিফার মুখে তখন তৃপ্তির হাসি। উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন সুয়োকা, লুসিয়ানো, এরিকদের সঙ্গে।
তখন মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হল সুভাষ ভৌমিককে!
রবিবার কিঙ্গ কাপের সেমিফাইনালের লড়াইটা শুধু পুণে এফসি বা মোহনবাগানের মধ্যে ছিল না। লড়াই ছিল মর্যাদা রক্ষার! মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ এবং বর্তমান টিডির কাছে লড়াইটা ছিল নিজেদের প্রমাণ করার! লড়াই ছিল দু’কোচের ট্যাকটিক্সের!
আর সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত মরক্কান কোচের। মোহনবাগানকে হারিয়ে এক দিকে যেমন মরসুমের শুরুতে তাঁকে সবুজ-মেরুন শিবিরে না রাখার বদলা পূরণ করলেন করিম, অন্য দিকে তাঁর কোচিংয়েই প্রথম বার বিদেশের কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল পুণে। ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডির।
ভুটানের থিম্পুতে বাগান শিবিরে ফোন করলে শোনা গেল শুধু আফসোস আর হতাশা। তবে মোহনবাগানের দাবি, পুরো ম্যাচ তারাই খেলেছে। কিন্তু গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারার ফল হাতেনাতে পেয়েছে। নির্ধারিত সময় খেলার ফল ১-১ ছিল। টাইব্রেকারেও ৫-৫ শেষ করে দু’দল। কিন্তু সাডেন ডেথে প্রতীক চৌধুরি গোল মিস করায় ফাইনালে চলে যায় পুণে এফসি।
এ দিন বিরতির আগেই ১-০ করেছিল বাগান। পঙ্কজ মৌলার দুরন্ত শটে। তবে বেশিক্ষণ গোল ধরে রাখতে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। পঙ্কজের গোলের ১৪ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান পুণের প্রকাশ। বিরতির পর সোনি ফাঁকা গোল পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন। এমনকী এর পরও বাগান বেশ কিছু ভাল সুযোগ তৈরি করেছিল। যেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। পাশাপাশি মোহনবাগান শিবিরের অভিযোগ, ন্যায্য পেনাল্টি দেননি রেফারি। টিমের ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষ থিম্পু থেকে ফোনে বললেন, “ম্যাচের প্রথমার্ধে বোয়া যখন বল নিয়ে গোলের দিকে এগোচ্ছে, তখন লুসিয়ানো বক্সের মধ্যেই ওর জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেয়। ন্যায্য পেনাল্টি ছিল। সোনিকেও বক্সের মধ্যে ফাউল করেছিল লুসিয়ানো। তখনও রেফারি নির্বিকার ছিলেন।”
শেখ জামালের কাছে হারের পর আবার শেষ চারের লড়াইয়ে করিম বেঞ্চারিফার টিমের কাছে হেরে কিঙ্গ কাপ থেকে ছিটকে যেতে হল বাগানকে। কিন্তু এ রকম ফলের কারণ কী? টিম ফিরলে মোহন টিডি-র কাছে জানতে চাইবে ক্লাব। মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র বলেন, “টিম ফিরুক, তার পর সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে বসব। জানতে চাইব কিঙ্গ কাপে এ রকম ফল হল কেন?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy