আরও পড়ুন: দলে নেই গেল-নারিন-মালিঙ্গা! আইপিএলে সর্বকালের সেরা একাদশ বেছে চমক ডেভিলিয়ার্সের
লোকেশ রাহুল ও ঋষভ পন্থের উইকেটকিপিং নিয়ে ব্র্যাড হগ বলেছেন, “বছরের গোড়ায় যে সুযোগগুলো পেয়েছিল তা কাজে লাগিয়েছে রাহুল। বুঝিয়ে দিয়েছে ছোট ফরম্যাটে ও কিপিং করতেই পারে। সাহার মতো রাহুলও দ্রুত গতির। কিন্তু উচ্চতার কারণে লেগ সাইডে ও একটু মন্থর। ঋষভ আবার একটু ফ্ল্যাট-ফুটেড। হার্ড হ্যান্ডস আছে পন্থের। অন্য দু’জনের চেয়ে পন্থ বেশ স্ন্যাচ করে বল।”
এর পর সিদ্ধান্তে এসেছেন তিনি। ব্র্যাড হগের মতে, “তিন ফরম্যাটে তা হলে কিপার হিসেবে কে আদর্শ? টেস্টে লোকেশ রাহুলের কথা ভাবছি না। কারণ, ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই তা করে না। টেস্টে ও কিপিং করলে তা প্রভাব ফেলবে ব্যাটিংয়ে। বাড়তি পরিশ্রমে ব্যাটিং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সাহা বা পন্থের থেকে কাউকে বেছে নিতে হবে।” এই দু’জনের মধ্যে কে কিপিং করবেন টেস্টে? হগ বেছে নিয়েছেন ঋষভ পন্থকে। তাঁর যুক্তি, “পন্থের ব্যাটিং অনেক বেশি বিধ্বংসী। ভারতের টপঅর্ডার দেখলে পরিষ্কার যে অধিকাংশ রানই করে টপ ফাইভ। সাত নম্বরে এমন কাউকে দরকার যে কিনা ম্যাচকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এবং বিপক্ষের কুড়ি উইকেট নেওয়ার জন্য বোলারদের বাড়তি সময় এনে দিতে পারবে। যা টেস্ট ম্যাচে অত্যন্ত জরুরি। তাই পন্থ যদি কয়েকটা স্টাম্পিং মিসও করে, তা হলেও টেস্ট জেতানোর ক্ষেত্রে ব্যাট হাতে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দিতে পারবে ও।”
আরও পড়ুন: গ্রেগ চ্যাপেল নয়, আমায় তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠায় সচিন, ফাঁস করলেন ইরফান
ওভারের ফরম্যাটে হগ অবশ্য বেছে নিয়েছেন লোকেশ রাহুলকে। তাঁর মতে, “সাদা বলের ক্রিকেটে আগ্রাসী বলে পন্থকে খেলানোর কথা ভাবা হতেই পারে। কিন্তু আমি একমত নই। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সাহাকে দিয়েও চলবে না। কারণ ওর স্ট্রাইক রেট কম, পন্থ ও রাহুলের মতো সহজে বাউন্ডারি মারতেও পারে না। আমি তাই বেছে নেব রাহুলকে। আর রাহুল ও পন্থের মধ্যে যদি তুলনা হয়, তবে এক দিনের ক্রিকেটের তিনটি পর্যায়েই রাহুল বেশি আক্রমণাত্মক। পন্থ হল অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী। ও কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে পারে না, বাড়াবাড়ি করে ফেলে। এখানে রাহুল আবার অনেক বেশি পরিণত।”
হগ আরও বলেছেন, “আমার মতে, টেস্টে পন্থ কিপিং ককুক, ওভারের ফরম্যাটে থাকুক রাহুল। আর দুর্দান্ত এক জন ব্যাকআপ উইকেটকিপার হিসেবে থাকুক ঋদ্ধি। তবে পরের দুই-তিন বছরের মধ্যে পন্থ তিন ফরম্যাটেই কিপিং করবে। ওই হবে প্রধান কিপার। তবে তার জন্য উন্নতির রাস্তায় থাকতে হবে। এক জন মাইন্ড কোচ লাগবে ওর, অনেকটা স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের মতো। যা ওকে কঠিন পরিস্থিতিতে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।”