গ্রেগ চ্যাপেল, ইরফান পাঠান ও সচিন তেন্ডুলকর।
ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেরই ধারণা যে ইরফান পাঠানের কেরিয়ার অকালে শেষ হওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল গ্রেগ চ্যাপেলের। তিনি এক অসাধারণ সুইং বোলারকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার বানাতে গিয়ে পাঠানের স্বাভাবিক ক্ষমতা নষ্ট করেন। অনেকেরই ধারণা, গ্রেগই তাঁকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ধারণাকে চুরমার করে দিলেন খোদ ইরফানই।
গ্রেগ চ্যাপেল যখন কোচ ছিলেন, তখন ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে ইরফান পাঠানকে নামিয়ে পরীক্ষা করেছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত। ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করেন, ইরফানকে ব্যাটসম্যান বানানোর চেষ্টা করেছিলেন চ্যাপেল। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁর বোলিং। কিন্তু, তাঁকে তিন নম্বরে নামানোর নেপথ্যে গ্রেগ চ্যাপেলের কোনও ভূমিকা ছিল না বলে জানিয়ে দিলেন ইরফান। তাঁর দাবি, সচিন তেন্ডুলকরই তাঁকে তিন নম্বরে খেলানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন অধিনায়ক দ্রাবিড়কে।
আরও পড়ুন: বক্সিং করছেন পন্থ, পিছনে দাঁড়িয়ে নকল করছেন চহাল, ইনস্টাগ্রামে মজার পোস্ট লেগস্পিনারের
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে আইপিএল থেকে চিনা স্পনসর সরানো হোক, দাবি নেস ওয়াদিয়ার
২০০৫ থেকে ২০০৮, এই কয়েক বছরের মধ্যে ১৮ বার এক দিনের ম্যাচে তিন নম্বরে নেমেছিলেন ইরফান পাঠান। ২৮.৬৪ গড়ে করেছিলেন ৪৮৭ রান। যাতে ছিল তিনটি পঞ্চাশ। প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান বলেছেন, “যাঁরা বলেন গ্রেগ চ্যাপেল আমার কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠিয়ে, তাঁদের জানাই যে এটা আসলে ছিল সচিনের আইডিয়া। আমাকে তিনে পাঠানোর পরামর্শ রাহুল দ্রাবিড়কে দিয়েছিল সচিনই। সচিন বলেছিল, ইরফানের ছয় মারার শক্তি আছে, নতুন বল খেলতে পারে, জোরে বোলারদের সামলাতে পারে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে প্রথম বার তিনে পাঠানো হয়েছিল আমাকে। তখন মুরলীধরন ছিলেন সেরা ছন্দে। মুরলীকে মারাই ছিল পরিকল্পনা। দিলহারা ফার্নান্ডোর স্লোয়ার বলও ধরতে পারছিল না ব্যাটসম্যানরা। তাই আমি যদি রান করে দিতে পারি, তবে দলের সুবিধা। এটাই ছিল পরিকল্পনা।”
ইরফান ফের বলেছেন, “গ্রেগ চ্যাপেল মোটেই আমার কেরিয়ার শেষ করে দেননি। উনি তো ভারতীয় নন। তাই পাঞ্চিং ব্যাগ বানিয়ে ফেলা খুব সহজ।” চলতি বছরের গোড়ায় ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি ক্রিকেটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy