টিম বাসে করে স্টেডিয়াম যেতে যেতে টিম ডিরেক্টরের কয়েকটা শব্দ। যা নাকি যথেষ্ট ছিল সুরেশ রায়নার জন্য!
কার্ডিফে রায়না কী ঘটিয়েছেন, ভারত ম্যাচ কতটা একপেশে জিতেছে সবার জানা হয়ে গিয়েছে। শুধু কেউ জানতেন না, রায়নার ওই দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরির বারুদটা কোথায় গুঁজে দেওয়া হয়েছিল।
বাসে রায়নার সঙ্গেই বসে ছিলেন রবি শাস্ত্রী। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের নতুন টিম ডিরেক্টর রায়নাকে শুধু বলেন, ‘খারুশ খেলনা হ্যায়।’ “আসলে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে যদি কথা বলেন, তা হলে কমফোর্ট লেভেলটাই আলাদা হয়। খোলা মনে অনেক কিছু বলা যায়। সৎ ভাবে কথাবার্তা বলা যায়,” ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে উঠে এক সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন রায়না। যিনি মনে করেন, অন্যান্য কোচও যথেষ্ট সমর্থন জুগিয়েছেন টিমকে। কিন্তু শাস্ত্রীর ব্যাপারটা আলাদা। “উনি যেন মঞ্চটাই আমাদের জন্য তৈরি করে দিলেন। টিমটার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ঢুকিয়ে দিলেন।’’
উপমহাদেশের বাইরে এই প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন রায়না। গত তিন বছর কোথাওই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কিন্তু বুধবারের রায়নাকে দেখে অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন। মাঠে যেন রাজত্ব করতে নেমেছিলেন ভারতীয় মিডল অর্ডারের বাঁ হাতি। কী ভাবে তৈরি করেছিলেন নিজেকে? “আমি তো বলেই ছিলাম যে টিমে পজিটিভ এনার্জি নিয়ে আসব। নিজে পারফর্ম করে সেটা আনতে পারলাম বলে ভাল লাগছে। পরিবেশ, পরিস্থিতি ধরলে এটা আমার কাছে অন্যতম সেরা ইনিংস। অনেক দিন আমরা কোনও ম্যাচ জিতিনি,” বলে দিচ্ছেন রায়না। “সচিন পাজি আর আমরে স্যরের (প্রবীণ আমরে) সঙ্গে ক্লাস করার পর ঠিক করেছিলাম যে, টিমে আনন্দ আমাকেই ফেরাতে হবে। সেটা সেঞ্চুরি করে হোক বা একটা দুর্ধর্ষ ক্যাচ নিয়ে। সতীর্থদের মুখে হাসিটা ফেরাতে চেয়েছিলাম। টেস্ট সিরিজ আমাদের খারাপ গিয়েছে বলেই আমরা খারাপ টিম, এমন নয়। ওয়ান ডে-তে আমরা দু’নম্বর টিম। বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আমরা জিতেছি। টেস্ট সিরিজে যা ঘটেছে, তার পর এমএস খুব ভাল কাজ করেছে। টিমে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে ও।”
সেটা ফেরানো কতটা কঠিন ছিল?
“সহজ ছিল না,” বলে দিচ্ছেন রায়না। “রবি শাস্ত্রীও টিমকে তাতিয়ে দিয়েছিলেন কয়েকটা কথা বলে। আর আমি ঠিক করে রেখেছিলাম, উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসব না। হাফসেঞ্চুরির পর নিজেকে নিয়ে একটু বেশি ভাবতে শুরু করেছিলাম কারণ গত তিন বছরে কোনও সেঞ্চুরি আমি পাইনি। আমি চেয়েছিলাম, শেষটাও ভাল করে আসতে। রোহিত হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে গেল। তাই ভেবেছিলাম, একেবারে শেষ পর্যন্ত খেলে আমাকে ফিরতে হবে। তাই একটা সময় পর্যন্ত খারুশ ক্রিকেট খেলেছি। তার পর নিজের শট খেলেছি। যা ইংল্যান্ড বোলারদের ছন্দটা নষ্ট করে দিয়েছিল। ওরা কোথায় বল করবে, কোথায় ফিল্ড সেট করবে, বুঝতে পারছিল না। ওই সময় আমি ওদের উপর কর্তৃত্ব করছিলাম। ওদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে তখন ভাবছিলাম আমি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy