জলের বোতল কিনলে সেটা চেপে ধরে দেখছেন কোথাও ফুটো আছে কি না। খাবার জন্য দুধের প্যাকেট এনেও পরীক্ষা করছেন কোনও ছিদ্র দিয়ে দুধ পড়ছে কি না। জিনিসপত্র এনে নিজে রান্না করে খাচ্ছেন।
ভারোত্তোলনে বাংলা শুধু নয়, ভারতীয় মেয়ে দলের এক মাত্র মুখ রাখি হালদার ডোপিং নিয়ে এতটাই শঙ্কিত যে, কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। শুধু প্রতিদিনের খাবারেই নয়, জল-দুধের মুখ বন্ধ বোতল বা প্যাকেটেও বিশ্বাস নেই তাঁর। ‘‘সঞ্জিতা চানু ডোপে ধরা পড়েছেন। দেশি-বিদেশি অসংখ্য ভারোত্তোলক ডোপিংয়ের জন্য শাস্তির কবলে। তাই এশিয়াডে নামার আগে আমি ওটা নিয়ে প্রচণ্ড সতর্ক। কোনও কলঙ্ক যেন গায়ে না লাগে,’’ বলছিলেন ছাব্বিশ বছরের রাখি।
এশিয়াডের পদকের জন্য লড়াই না, পরীক্ষায় বসে স্নাতক হওয়া? কোনটা অগ্রাধিকার হিসাবে নেবেন সেটা ভাবতে রাখি সময় নিয়েছিলেন কয়েক মিনিট। শেষ পর্যন্ত নদিয়ার হাজিপুরের মেয়ে ভারোত্তোলক বেছে নিয়েছেন, এশিয়াডকেই। পাতিয়ালার শিবির থেকে ফোনে রাখি বলছিলেন, ‘‘স্নাতক হওয়ার সুযোগ অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু পনেরো জনের সঙ্গে লড়াই করে এশিয়াডে নামার যে দুর্লভ সুযোগ অর্জন করেছি তা হয়তো আর কোনও দিন পাব না। সে জন্যই জাতীয় শিবিরে গিয়ে যখন শুনলাম পরীক্ষার জন্য ছুটি পাওয়া যাবে না, তখন ঠিক করলাম পরীক্ষা দেব না।’’