Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Vinod Kambli

বিশেষ পাক ফ্যানের চিঠি কাম্বলিকে পৌঁছে দিতেন রশিদ লতিফ!

১৯৯১ সালে শারজায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল কাম্বলির। বিপক্ষে ছিল পাকিস্তান। সেই সময় থেকেই পাকিস্তানের এক ক্রিকেটপ্রেমী চিঠি লিখতেন তাঁকে।

পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা মাঠের বাইরে ছিলেন বন্ধু, জানালেন কাম্বলি। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা মাঠের বাইরে ছিলেন বন্ধু, জানালেন কাম্বলি। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ১২:১৫
Share: Save:

পাকিস্তান থেকে চিঠি পাঠাতেন ভক্ত। আর সেই চিঠি তাঁকে পৌঁছে দিতেন পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটকিপার রশিদ লতিফ। দুই দেশের সাম্প্রতিক সম্পর্কের নিরিখে কার্যত অবিশ্বাস্য এই ঘটনার কথাই প্রকাশ্যে আনলেন বিনোদ কাম্বলি

১৯৯১ সালে শারজায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল কাম্বলির। বিপক্ষে ছিল পাকিস্তান। সেই সময় থেকেই পাকিস্তানের এক ক্রিকেটপ্রেমী চিঠি লিখতেন তাঁকে। মোবাইল, ইমেলের আগের সেই যুগে চিঠি পৌঁছনোর দায়িত্ব নিতেন রশিদ লতিফ। পডকাস্টে কাম্বলি স্মৃতিচারণা করেছেন, “পাকিস্তানে গেলে আমাদের দারুণ অভ্যর্থনা করা হত। আমার এক জন ভক্তও ছিলেন ও দেশে। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে আমার কেরিয়ারের দিকে চোখ রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন করাচির বাসিন্দা। সেই সময়ে মোবাইল ছিল না, ফোন কল করা যেত না। তিনি তাই চিঠির মাধ্যমে নিজের মনোভাব প্রকাশ করতেন।”

বাঁ-হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আরও বলেন, “আপনারা ভাবতেই পারবেন না যে কে এই চিঠিগুলো এনে দিত। সেই ভক্ত চলে যেতেন রশিদ লতিফের কাছে। সমস্ত চিঠিগুলো তিনি দিতেন লতিফকে। আর লতিফ তা সঙ্গে করে নিয়ে আসত আমাদের যখনই দেখা হত তখন। আমি অবসর নেওয়ার পরও পাকিস্তানে ভক্তরা ছিলেন।”

আরও খবর: আশা বাড়ছে আইপিএলের, সেপ্টেম্বরে আমিরশাহিতে হওয়ার সম্ভাবনা

আরও খবর: কপিলের পরামর্শে উপকৃত হই, বলে দিলেন কোচ দ্রাবিড়​

দুই দেশের ম্যাচ মানেই উপমহাদেশে থাকত যুদ্ধের আবহ। বাড়ত উত্তেজনা। কিন্তু বাইশ গজে যত মরিয়া মানসিকতাই থাক না কেন, তার বাইরে ছিল বন্ধুত্ব। কাম্বলি বলেছেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা ছিল শত্রুতা। কিন্তু খেলার বাইরে ওরা ছিল আমার বন্ধু। ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রম, বাকিরা... সবাই। এমন ধরনের বন্ধুত্ব ছিল যা আমরা উপভোগ করতাম। খেলার সময় আবার নিজেদের নিংড়ে দিতাম, সেরাটা উজাড় করে দিতাম। অবশ্য মাঠ ছেড়ে বেরলে আমরা মিশে যেতাম দারুণ ভাবে। এটা ওয়াকারকে জিজ্ঞাসা করলেই বুঝতে পারবেন। ওর সঙ্গে সময় কাটাতাম অনেক। ওয়াসিম ভাইও থাকত। আমরা ছিলাম বন্ধু। আমার অভিষেকের সময় থেকে সেই বন্ধুত্ব বজায় রেখেছি। এখনও মনে আছে ওদেশে গিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে খেলার কথা। সেই প্রথমবার পাকিস্তানে গিয়েছিলাম আমি।”

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়টি এক দিনের ম্যাচে কাম্বলি করেছিলেন ৩৫৪ রান। সর্বাধিক ৬৫। সার্বিক ভাবে দেশের হয়ে ১০৪ ম্যাচে কাম্বলির ব্যাটে এসেছিল ২৪৭৭ রান। নয় বছরের কেরিয়ারে নয় বার জাতীয় দলে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু শুরুর সময়ের মতো সাফল্য আর পাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE