Advertisement
E-Paper

শিশির মাপতে রাতে মাঠে হানা শাস্ত্রীদের

১-০ এগিয়ে আছেন বলে এলেন না, এমন নয়। বরং এটাই এখন নতন প্রথা। প্র্যাকটিসে নিজেকে নিংড়ে দাও ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৮
অভিযান: সরেজমিনে তদন্ত করে এলেন শাস্ত্রী। ফাইল চিত্র

অভিযান: সরেজমিনে তদন্ত করে এলেন শাস্ত্রী। ফাইল চিত্র

ভারতীয় দলে নতুন প্রথা হচ্ছে, ম্যাচের আগের দিন খুব কঠোর অনুশীলন না করা। অনেক সময় তো আগের দিন অনুশীলনের পাঠই রাখা হয় না। রাজকোটে যেমন হল। আজ, শনিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। কিন্তু শুক্রবার বিরাট কোহালিরা প্র্যাকটিস করতেই এলেন না।

১-০ এগিয়ে আছেন বলে এলেন না, এমন নয়। বরং এটাই এখন নতন প্রথা। প্র্যাকটিসে নিজেকে নিংড়ে দাও ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে। কিন্তু আদের দিন যতচা পারো বিশ্রাম নাও, হাল্কা রাখো নিজেকে। যাতে ম্যাচে তরতাজা হয়ে নামা যায়। এনার্জি ধরে রাখার এই নতুন রীতি অনুসরণ করেই শুক্রবার প্র্যাকটিস থেকে ছুটি দেওয়া হল ক্রিকেটারদের।

তা বলে টিম ম্যানেজমেন্টের কিন্তু পুরোপুরি ছুটি নেই। রাতের দিকে রবি শাস্ত্রী তাঁর সহ-কোচদের নিয়ে হানা দিলেন সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার মাঠে। জানা গেল, রাতের দিকে মাঠে যাওয়ার বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। ম্যাচ শুরু হবে সাতটায়। তাই বাইশ গজ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি দেখে আসা যে, শিশির পড়ে কি না বা পড়লে কতটা পড়ছে। ভারতে এই সময় বিশেষ করে সন্ধে থেকে ম্যাচ শুরু হওয়া মানে ভাগ্য গড়ে দিতে পারে শিশিরই। কোনও কোনও জায়গায় এতটাই শিশির পড়ে যে, পরে ফিল্ডিং করা দলের বোলাররা বল গ্রিপ করতেই নাজেহাল হয়ে যান।

ভারতীয় দলের এই সমস্যা আরও বেশি হতে পারে কারণ, তাদের স্পিনারের সংখ্যা বেশি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এক-এক জন বোলার চার ওভার করে পান। ভারত অন্তত দু’জন স্পিনার প্রত্যেক ম্যাচে খেলাচ্ছেই। তার মানে দুই স্পিনার মিলিয়ে আট ওভার। ওই আট ওভার যদি শিশিরের জন্য হাত থেকে পিছলে যায়, ম্যাচও পিছলে যেতে পারে। এটা বুঝতে পেরেই আগাম সতর্কতা হিসেবে রাতের দিকে মাঠের এই অভিযান শাস্ত্রীদের। তাঁর সঙ্গে বোলিং কোচ ভরত অরুণও গিয়েছিলেন। ফিরে এসে গোটা দলকে তাঁরা অবহিত করলেন মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে। এমনিতেও শিশির নিয়ে বিশেষ সতর্কতা হিসেবে ভারতীয় বোলারদের ভিজে বলে অনুশীলন করিয়েছেন শাস্ত্রী, অরুণ-রা। তাতে বেশ উপকারই হয়েছে। কানপুরে এক দিনের ম্যাচে খুবই শিশির পড়ছিল। তার মধ্যেও ভারতীয় বোলাররা খুব খারাপ বল করেননি। এমনিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা তারকা হলেও বোলাররা যে গত কয়েক মাস ধরে টানা জিতিয়ে চলেছেন, সেটা দলের মধ্যে সকলেই মেনে নিচ্ছেন।

পরীক্ষা: সিরিজ বাঁচাতে আজ জিততে হবে বোল্টদের। ছবি: পিটিআই।

বিরাট কোহালির অধিনায়কত্বে ওয়ান ডে-তে টানা সাতটি সিরিজ জিতেছে ভারত। শনিবার রাজকোটে জিতলে টি-টোয়েন্টি সিরিজও তাঁদের হাতের মুঠোয় চলে আসবে। রস টেলর, টম লেথাম-রা খুব আশা জাগিয়ে সিরিজ শুরু করেছিলেন। ওয়াংখেড়েতে ভারতীয় স্পিনারদের সুইপ মেরে ম্যাচ জিতে নেন তাঁরা। কিন্তু তারপর থেকে আর সেই ঝলক দেখাতে পারেননি। ওয়ান ডে সিরিজ হেরেছেন, টি-টোয়েন্টিতেও ০-১ পিছিয়ে। ফিরোজ শা কোটলায় আশিস নেহরার বিদায়ী ম্যাচে ২০৩ রান তাড়া করতে নেমে অতিথিরা শেষ হয়ে যায় ১৫৪ রানে। তাঁদের ব্যাটিংয়ে একেবারেই কোনও গভীরতা চোখে পড়েনি। কেন উইলিয়ামসনদের জন্য সবচেয়ে চিন্তার কারণ তাঁদের ফিল্ডিং। কোটলায় অন্তত তিনটি ক্যাচ পড়েছে।

ভারতীয় দলে ম্যাচউইনারের সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। বিরাট কোহালি, শিখর ধবন, রোহিত শর্মাদের নিয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং তো আছেই। হার্দিক পাণ্ড্য-র মতো অলরাউন্ডার আছেন। যশপ্রীত বুমরা-ভুবনেশ্বর কুমারের পেস বোলিং জুটি রয়েছে। যাঁদের এখন একদিনের ক্রিকেটে সেরা পেস বোলিং জুটি বলছেন অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারেরাও। অতিথিদের আতঙ্কিত করে রেখেছেন ভারতীয় স্পিনার ত্রয়ী— যুজবেন্দ্র চহাল, কুলদীপ যাদব এবং অক্ষর পটেল। এর মধ্যে বাঁ হাতি অক্ষর হয়তো ফের সুযোগ পাবেন চায়নাম্যান কুলদীপের জায়গায়।

আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবেন ভারতের দুই তরুণ প্রতিভাও। যাঁদের নেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করে আসা শ্রেয়স আয়ার এবং হায়দরাবাদের উঠতি পেস বোলার মহম্মদ সিরাজ। বিশেষ করে নেহরা অবসর নিয়ে ফেলায় রাজকোটে সিরাজের হাতে অধিনায়ক কোহালি ‘ইন্ডিয়া ক্যাপ’ তুলে দেন কি না, তা দেখার অপেক্ষায় বসে ক্রিকেট মহল।

Ravi Shastri Cricket
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy