সবুজ-মেরুন জার্সি পরে যে ভাবে ইস্টবেঙ্গলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতেন, ঠিক সেই ঢঙেই তাঁকে আবার বলতে শোনা গেল, “ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল করার জন্যই তো এসেছি।”
শহরে পা দিয়ে নাইজিরিয়ান গোলমেশিন ওডাফা ওকোলির হুঙ্কার, “গোল করেই টিমকে জেতাতে চাই।”
স্পোর্টিং ক্লুবের হয়ে খেলতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় চলে এলেন তিনি। এসেই অবশ্য পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে গেলেন। ২২ মার্চ র্যান্টি-ডুডুদের বিরুদ্ধে এ মরসুমের আই লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবেন ওডাফা।
আই লিগ খেলতে না পারার যন্ত্রণা নিয়ে এত দিন চার্চিল ব্রাদার্সে বসে ছটফট করছিলেন। চার্চিলকে বাতিল করেছে ফেডারেশন। এএফসি-র নিয়ম না মানায়। ফলে ফেডারেশনের কোনও টুর্নামেন্টে খেলতে পারছিলেন না ওডাফা। লোনে স্পোর্টিং-এ খেলার সুযোগ পাওয়ার পর যেন শাপমুক্তি হয়েছে তাঁর। আই লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এখন মুখিয়ে রয়েছেন। বলেও দিলেন, “আই লিগের অনেকগুলো ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। আমি হয়তো অনেক পরে খেলতে নামছি। কিন্তু শনিবারের ম্যাচ থেকে আবার নতুন করে শুরু করতে চাই। গোল করে টিমকে জেতানোই এখন আমার চ্যালেঞ্জ।” এর সঙ্গেই যোগ করলেন, “যখন আই লিগে অন্য টিমের খেলা বাড়িতে বসে দেখতাম খুব খারাপ লাগত। এটা বড় যন্ত্রণার ছিল। তবে আমি কখনওই খারাপ সময়ের কথা মনে রাখি না। এখন স্পোর্টিংকে লিগ তালিকার ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।”
কলকাতায় এসে কি নস্ট্যালজিক? মোহনবাগানের কথা মনে পড়ছে? কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ওডাফা বলেন, “মোহনবাগানে আমি অনেক সম্মান পেয়েছি। অনেক ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে গোয়া আর কলকাতা দু’টোই আমার শহর। কলকাতাকে ঘিরে যেমন আমার ভাল-খারাপ-লড়াই করার স্মৃতি রয়েছে, গোয়ার সাফল্য, সুখ-দুঃখের স্মৃতিগুলোও ভুলি কী করে!” ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে খেলতে নামার আগে কি ডার্বির কথা মনে পড়বে না? “এখন স্পোর্টিংয়ের যা অবস্থা তাতে সব ম্যাচই আমাদের কাছে ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচও তাই। তবে এটা ঠিক মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে যে উত্তেজনা থাকে, সেটা কখনওই অন্য টিমের সঙ্গে ম্যাচে থাকবে না। কারণ যুবভারতীতে একতরফা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাই থাকবেন। যেটা ওদের প্লাস পয়েন্ট হবে। কিন্তু আমাদেরও এখন পয়েন্ট হারানো যাবে না। সেটা টিমের সবাইকে মনে রাখতে হবে।”
বুধবার রাতে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলে এসেই শনিবার আবার আই লিগের ম্যাচ খেলতে নামবেন এলকো সতৌরির ফুটবলাররা। স্বভাবতই লাল-হলুদের কাছে ক্লান্তি একটা বড় সমস্যা হবে। সেটা মেনে নিচ্ছেন ওডাফাও। তবে ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গল যে সব সময় ফেভারিট সেটা মনে করিয়ে দিতে ভুলছেন না। “হয়তো ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা কিছুটা ক্লান্ত থাকবে। তা বলে ওদের সমীহ না করলেই বড় ধাক্কা খেতে হবে,” বলে দেন নাইজিরিয়ান গোলমেশিন। এ দিকে ইস্টবেঙ্গল একজন ভিডিও অ্যানালিস্ট নিযুক্ত করল। নাম রৌনক সালাত। যিনি আইএসএলে দিল্লি ডায়নামোসের ভিডিও অ্যানালিস্ট হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। কোচ এলকো সতৌরির কথা মেনেই নাকি পেশাদার ভিডিও অ্যানালিস্ট নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন ক্লাব কর্তারা। কিছু দিন আগে মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন ভিডিও অ্যানালিস্ট নিযুক্ত করার কথা বললেও, সবুজ-মেরুনে আর্থিক সমস্যার জন্য সেটা সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy