কোচ জিদানের দ্বিতীয় ট্রফি।
কোচ জিদানের মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক। মরসুম শেষ করেছিলেন ট্রফি দিয়ে, এবার শুরুও করলেন ট্রফি দিয়েই।
গত মে মাসে চ্যাম্পিয়ান্স লিগ ফাইনাল জেতার পরে মরসুমের প্রথম ম্যাচেই সেভিয়াকে হারিয়ে রিয়েলকে তৃতীয় বার উয়েফা সুপার কাপ এনে দিলেন জিজু।
চ্যাম্পিয়ান্স লিগ জয়ী এবং ইউরোপা লিগ জয়ীদের এই ম্যাচে ছিলেননা রোনাল্ডো তবে তার অভাব বুঝতে দেননি ম্যাচের নায়ক সোর্জিও র্যামোস। পিছিয়ে থাকা রিয়ালকে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনি, তার পর ম্যাচের ১১৯ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে জয় এনে দিলেন কার্ভাজাল।
রোনাল্ডো না থাকায় ক্যাসেমিরো, মোরাটা, ইস্কো, অ্যাসেনসিওর মত তরুণদের আক্রমণে রেখে এদিন দল সাজান জিদান। এমনকি বেঞ্জিমাকেও বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে ১১ বার চ্যাম্পিয়ান্স লিগ জয়ী রিয়াল। সাফল্য আসে ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথাতেই। ২৫ মিটার দুর থেকে বল জালে জড়িয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ২০ বছর বয়সি অ্যাসেনসিও। তবে প্রথম হাফ শেষের আগেই টানা তিন বার ইউরোপা জয়ী সেভিয়াকে ফিরিয়ে আনেন ভাসকোয়েজ। ৪১ মিনিটে গোল শোধ করেন তিনি। এরপরেই ১৮ মিনিট বাকি থাকতে ম্যাচের গতির বিপরীতে পেনাল্টিতে গোল করে সেভিয়াকে এগিয়ে দেন কোনোপ্ল্যাঙ্কা।
ম্যাচ প্রায় জিতে গেছে সেভিয়া এমন সময়েই আসে কাহানি মে টুইস্ট। রিয়ালের রক্ষাকর্তা হয়ে দেখা দেন অধিমায়ক র্যামোস এবং ৯৩ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনি। একই সাথে ফিরিয়ে আনেন ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ান্স লিগের ফাইনালের স্মৃতি যেখানে ঠিক একই ভাবে অতিরিক্ত সময়ে গোল করে লস ব্ল্যাঙ্কোস দের ম্যাচে ফিরিয়ে এনে ছিলেন তিনি। এরপর আর সেভিয়াকে ম্যাচে ফিরতে দেননি জিদানের ছেলেরা। ম্যাচের ১১৯ মিনিটে কার্ভাজালের গোলে তিন নম্বর সুপার কাপ নিশ্চিত করে রিয়াল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy