আইপিএলের উদ্বোধনী তুবড়ি। ক্যাটরিনার নাচ।
ফান-ফ্যানস-ফ্যান্টাস্টিকের বদলে হবে গ্ল্যাম-গ্লাম-সার্কাসটিক। আইপিএলের নবম সংস্করণ উদ্বোধনের ক্যাচলাইনটা হবে ওটাই।
না হলে ক্রিস গেইলের মতো পার্টি-প্রিয় চরিত্র উদ্বোধন দেখে মৌতাতে মজার বদলে কি না চলে গেলেন লেট নাইট জিমে! বা উন্মুক্ত চন্দ অনুষ্ঠানের মধ্যেই ঘুমন্ত অম্বাতি রায়ডুর ছবি টুইট করেন!
বলিউড সুন্দরীদের লটকা-ঝটকা, লেজারের দৌরাত্ম্য, সাইকেডেলিক আলোর দুষ্টুমি, হাসি, মজা, বিনোদন— সব আছে। নেই শুধু আমচি মুম্বই। নেই তার বাদশাহ শাহরুখ খান। টিনসেল টাউনের প্রীতি জিন্টা থেকে ফুটবলের প্রফুল্ল পটেল, সবাই আছেন। নেই কেবল ভরা শো বিজের শহরের বিখ্যাত ক্রাউড। সমীকরণের ভাষায় গ্ল্যামার প্লাস ক্রিকেট প্লাস পার্টি প্লাস ফেস্টিভিটি মাইনাস আম আদমি মাইনাস মিডিয়া।
যেখানে ক্যাটরিনা কাইফের কোমর দুলল ‘ব্যাং ব্যাং’-এর তালে। ডোয়েন ব্র্যাভো গাইলেন বিশ্বকাপ-উত্তর তাঁর সুপারহিট ‘চ্যাম্পিয়ন’। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার মঞ্চে উঠে জানতে চাইলেন, ‘‘আমি গাওয়ার সময় আপনারা সবাই নাচবেন তো?’’ মাতলেন রণবীর সিংহ, ইয়ো ইয়ো হানি সিংহ, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজরা।
এখানেই শেষ নয়। টিমের ক্যাপ্টেন নিজেকে কিলার মিলার থেকে চিলার মিলারে পরিবর্তন করার কথা জানাতেই হাঁ হাঁ করে উঠলেন কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের মালকিন প্রীতি জিন্টা। বললেন, ‘‘কিলার থেকে ও চিলার হয়ে গেলে আমি ওকে মেরে ফেলব।’’
ক্যাপ্টেনদের সেলফি।
ক্রিকেটাররাই বা বাদ যান কেন? মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হার্দিক পাণ্ড্য বলে গেলেন, ‘‘বিন্দাস উপভোগ করছি।’’ আর হার্দিকের সতীর্থ পার্থিব পটেল হিপ হপ না জ্যাকলিনের নাচ, কোনটা পছন্দ জানতে চাইতেই লজ্জায় রাঙা হয়ে গেলেন। ‘‘এ তো প্রথম বলেই আউট করে দেবেন দেখছি।’’ ব্র্যাভোর গানের তালে হাত মেলালেন রাজীব শুক্ল, বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুররা। এরই মাঝে সংযোজকের প্রশ্নে হরভজনের টিপ্পনি, ‘‘বিয়ে করে অনেক ভাল আছি। প্রীতিও!’’
ওরলির ন্যাশনাল স্পোর্টস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রবেশ ছিল আমন্ত্রণমূলক। এমসিএ সূত্রে খবর, যে সামান্য কিছু টিকিট বিক্রি হয়েছে তাও নাকি শুরু হাজার দ’শেক টাকা থেকে। ফলে মরাঠিদের নববর্ষ ‘গুডি পরওয়া’-র দিন আমচি মুম্বই মাতেনি আইপিএল উদ্বোধনের মেগা শো ঘিরে।
আরও পড়ুন:
আইপিএল-এর আট মজাদার অজানা তথ্য
তবে নাচ-গান দেখলে কে বলবে, এই শহরটাই আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে আদালতে চলে গিয়েছিল খরা পরিস্থিতিতে জল অপচয়ের জন্য আইপিএল সরানোর দাবি জানিয়ে!
ছবি: পিটিআই এবং টুইটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy