মুম্বই যে এ বার আইপিএলে কোথায় গিয়ে থামবে সমর্থকরা বুঝে উঠতে পারছে না। লুডোর ছক্কার মতো আর কী, যে কোনও নম্বর আসতে পারে। কোনও দিন ওরা কলকাতাকে উড়িয়ে দিচ্ছে। কোনও দিন আবার সবাই মিলে একশো রান করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। তবে এটা ঠিক এ রকম অবস্থা গত বারও ছিল ওদের। তার পর শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে শেষ করেছিল ওরা, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।
এ বার একটা দর্শন মেনে চলছে মুম্বই। যেটা অন্য টিমগুলোর থেকে আলাদা। অতিরিক্ত বোলারের গদির উপর চেপে চলার দর্শন। ওদের প্রথম চার বোলারের যেমন ডিগ্রি আছে তেমনই বাকি যারা আছে তাদের নিজেদের ডিপ্লোমার উপর অনেক ভরসা রয়েছে।
এই মুম্বইয়ের লড়াই এ বার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। যারা নিজেদের নিয়ে বরাবর স্বপ্ন দেখে। গত চার ম্যাচে পঞ্জাব নিজেদের পারফরম্যান্সে হইচই তুলে ছেড়েছে। যেখানেই ওরা হেরেছে সেটা এক দু’রানের বেশি নয়। সন্দীপ শর্মা, অক্ষর পটেল আর মোহিত শর্মা হাল্কা ভাবে নেওয়ার মতো প্লেয়ার নয়। তার উপর কে সি কারিয়াপ্পা আছে। যে একই ওভারে কোহালি আর লোকেশ রাহুলকে তুলে নেওয়ার মতো উপহার দিতে পারে টিমকে। আর মার্কাস স্টইনিসকে দেখে যা মনে হয় ও কিন্তু মোটেও সে রকম নয়। এদের নিয়ে এ মরসুমের হারা যুদ্ধের শেষটা পঞ্জাব পরের বারের জন্য আশার পসরা সাজিয়ে শেষ করতে চাইছে।
সেই লক্ষ্যে পঞ্জাবের অধিনায়কত্বের ঘোড়ার উপর বসে রয়েছে মুরলী বিজয়। ওকে দেখে কিন্তু স্বাভাবিক সওয়ারি বলেই মনে হচ্ছে। কী করে নিজের সব অস্ত্র কাজে লাগিয়ে যুদ্ধ জিততে হয় সেটা বিজয় জানে। সঙ্গে হাসিম আমলাকেও ধরতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন শুধু শুধু এত দূর উড়ে এসেছে ভাবলে ভুল হবে।
মুম্বইকে বাকি তিনটে ম্যাচের দুটো জিততেই হবে। তার জন্য আগের দিন বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ওরা যে রকম আগাগোড়া নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল সেটাই দেখাতে হবে। তবে এ সবের পাশাপাশি মুম্বইয়ের এখন আরও যেটা দরকার সেটা রোহিত শর্মার রান করে যাওয়া। ওই এখন মুম্বইয়ের হৃদয়, ইঞ্জিন। ওই পারে মাঝসমুদ্রে হিমশিম খাওয়া দলকে দিশা দেখাতে। ডুবন্ত জাহাজকে বাঁচাতে। এটা অবশ্য ওদের কাছে অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy