সংসারী: ছেলের সঙ্গে রোনাল্ডো। পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: টুইটার
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জানিয়ে দিলেন, তাঁর বয়স বাড়ছে ঠিকই কিন্তু এখনও বেশ কয়েক বছর তিনি সর্বোচ্চ স্তরে খেলা চালিয়ে যাবেন। একটি সাক্ষাৎকারে সোজাসাপ্টা ভাবে তিনি বয়সের কথা স্বীকার করে নিয়েও বলে দিয়েছেন, ফুটবলের সেরাদের মধ্যে আরও কয়েক বছর তিনি শাসন করবেন। ইতালির একটি পত্রিকাকে দেওয়া খোলামেলা সাক্ষাৎকারে সি আর সেভেন বলেছেন, ‘‘আমার অনেক স্বপ্ন আছে। অনেক, অনেক স্বপ্ন আছে।’’ যোগ করছেন, ‘‘আমার মনে হয়, প্রত্যেকের উচিত স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্নকে তাড়া করা। আমি নিজের স্বপ্নকে তাড়া করেছি এবং আমি সেটা করে যেতে চাই। আমি আরও উন্নতি করতে চাই এবং আরও অনেক সাফল্যের চূড়োয় পৌঁছতে চাই।’’
জীবনের কথাও বলতে দ্বিধা করেননি রোনাল্ডো। তাঁর কথায়, ‘‘আমি জীবনের এই মুহূর্তটা খুবই উপভোগ করছি। আমার পরিবার বেড়ে উঠছে। জীবন নিয়ে আমি খুবই সুখী। ফুটবল মাঠেও গত দু’বছর দারুণ গিয়েছে আমার। ক্লাবের হয়ে ট্রফি জিতেছি, দেশের হয়ে জিতেছি।’’ তার পরে রোনাল্ডো-সুলভ ভঙ্গিতে সদর্পে ঘোষণা, ‘‘আমি মনে করি, আরও কয়েক বছর আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে কর্তৃত্ব নিয়ে খেলতে পারব।’’
তবে বিশ্বের সেরা ফুটবলারের দৌড়ে লিওনেল মেসির কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী এটাও স্বীকার করে নিচ্ছেন, তাঁর শরীর মাঝেমধ্যে সঙ্কেত দিতে শুরু করেছে যে, সব কিছু আগের মতো নেই। কী ভাবে শরীরকে সামলাতে হবে, সেই চিন্তা তাঁর মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে সাবধানী হতে চান তিনি। ‘‘জীবন সব দিক দিয়েই সারাক্ষণ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য বিষয়টি খুবই আকর্ষণীয়,’’ বলে রোনাল্ডো যোগ করছেন, ‘‘আমি সব সময় শারীরিক সক্ষমতার চূড়োয় থাকার চেষ্টা করি কারণ, আমাদের জগতে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাকে একশো শতাংশ ফিট থাকতে হবেই এবং আমি এটার উপর খুবই গুরুত্ব দিই।’’
রিয়াল মাদ্রিদ তারকার মেনে নিতে আপত্তি নেই যে, যতই তিনি ফিট থাকার চেষ্টা করুন, দশ বছর আগে যা করতে পারতেন এখন তা করে দেখানো সম্ভব নয়। ‘‘এই পর্যায়ে নিজেকে তরতাজা রাখতে গেলে অনেক আত্মত্যাগ করতে হবে। আমি নিশ্চয়ই আগের মতো সব কিছু করতে পারব না। কুড়ি বছর বয়সে যা পারতাম, তা এখন করতে পারব না।’’ তার পরেই তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমাদের একটা ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে। ছোট ছোট বিষয়ের উপর নজরও তফাত গড়ে দিতে পারে।’’
ফুটবলে শাসন করে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার দিকটা নিয়েও ভাবতে শুরু করেছেন। মাদ্রিদের একটি ঐতিহাসিক বুক স্টোর তিনি কিনে নিয়েছেন। সেখানে হোটেল বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। এই বুক স্টোর ছিল মাদ্রিদের প্রাচীনতম। ইতিমধ্যেই তাঁর নিজের নামে পোশাক, সুগন্ধী এবং জুতো বাজারে চলে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy