সাকেতকে অভিনন্দন লিয়েন্ডারের। শুক্রবার চণ্ডীগড়ে।-পিটিআই
লিয়েন্ডার পেজ, রোহন বোপান্নাদের নামার আগেই ডেভিস কাপ টাইয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল ভারত। এ দিন রামকুমার রমানাথন আর সাকেত মিনেনির দুরন্ত পারফরম্যান্সে। প্রথম দিনের শেষে ডেভিস কাপ এশিয়া-ওশিয়ানিয়া গ্রুপ ওয়ানের এই টাইয়ে ভারত ২-০ এগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে।
অদ্ভূত ভাবে দুটো সিঙ্গলস ম্যাচেরই শেষ দিকে রামকুমার আর সাকেতের প্রতিদ্বন্দ্বী পেশিতে টান ধরায় ম্যাচ ছেড়ে দেন। তার একটা কারণ যদি হয় সাকেতদের মরিয়া লড়াই, তা হলে দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই কোর্ট আর আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। গত কয়েক দিন ধরেই চণ্ডীগড়ে বৃষ্টি হওয়ায় কোর্টের ঘাস ভিজে আর নরম হয়ে গিয়েছিল। এ দিন প্রথম দিকে তাই কোর্ট ধীর গতির হয়ে যায়। বলের বাউন্সও কম ছিল। তার উপর চণ্ডীগড়ের গরম আর আর্দ্র আবহাওয়ায় প্রথম ম্যাচে মানিয়ে নিতে প্রবল পরিশ্রম করতে হয় রামকুমারকে।
ডেভিস কাপে অভিষেক ম্যাচে সব চ্যালেঞ্জই দারুণ ভাবে সামলান রামকুমার (সিঙ্গলস র্যাঙ্কিং ২১৭)। আড়াই ঘণ্টা লড়ে জেতার মুখে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সেওং চ্যান হং (সিঙ্গলস র্যাঙ্কিং ৪২৭) ডান পায়ে টানের সমস্যায় ম্যাচ ছেড়ে দেন। রামকুমার তখন ৬-৩, ২-৬, ৬-৩, ৬-৫ (১৫-১৫) এগিয়ে।
সাকেত মিনেনি (সিঙ্গলস র্যাঙ্কিং ১৫০) নামার পর কোর্টের বাউন্স তুলনায় অনেক ভাল ছিল। টিমকে সমতায় ফেরানোর যুদ্ধে সেটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি কোরীয় শিবিরের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ইয়ং কিউ লিম (সিঙ্গলস র্যাঙ্কিং ৬২৬)। সাকেত ৬-১, ৩-৬, ৬-৪, ৩-৬, ৫-২ এগিয়ে থাকার সময় চতুর্থ সেটের অষ্টম গেমে লিম পেশির টানের সমস্যাতেই ম্যাচ ছেড়ে দেন। ততক্ষণে তিন ঘণ্টা ন’মিনিটের লড়াই হয়ে গিয়েছে।
জার্সি খুলে আকাশে হাত ছুড়তে ছুড়তে এর পর সতীর্থদের কাঁধে চড়ে সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায় প্রথম বার পাঁচ সেটের লড়াই করা সাকেতের। পরে ভারতের নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ অমৃতরাজ বলেন, ‘‘এত গরম আর আর্দ্রতায় তিন ঘণ্টা লড়াইয়ের পর কোর্টে দাঁড়িয়ে থাকাটাই বড় ব্যাপার। সাকেতের এত যন্ত্রণা হচ্ছিল যে এক সময় ভাবছিলাম ওকে তুলে নিতে হবে। কিন্তু ও রাজি হয়নি।’’
আজ, শনিবার লিয়েন্ডার-রোহন বোপান্নার অভিজ্ঞ জুটি ডাবলস ম্যাচ জিততে পারলেই এই টাই দখল করে ফেলবে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy