সুভাষ ভৌমিকের উল্টো রাস্তায় হাঁটছেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ডার্বির কথা ভেবে যখন একটি করে হলুদ কার্ড দেখা ফুটবলারদের খেলানোর ঝুঁকি নিচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল, তখন মোহনবাগান কোচ নামিয়ে দিচ্ছেন পিন্টু মাহাতো, মেহতাব হোসেনকে। যাঁদের একটি করে কার্ড আছে।
‘‘ডার্বি আমাদের কাছে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার আগে তো আমাদের এরিয়ানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে থাকতে হবে। কার্ড দেখা দু’জন ফুটবলারকেই তাই দলে রাখছি। ওরা যদি ফের কার্ড দেখে ডার্বিতে সমস্যা হবে না। আমার হাতে পরিবর্ত ফুটবলার আছে।’’ কল্যাণীতে মঙ্গলবার দুপুরে অনুশীলনের পর বলে দিয়েছেন সবুজ-মেরুন কোচ। এ দিন সকালেই দিপান্দা ডিকা, শিল্টন পালরা পৌঁছে যান নতুন মাঠে খেলার জন্য। দুপুরে নেমে পড়েন অনুশীলনে। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলে জিতেছিল মোহনবাগান। ক্লাব সূত্রের খবর, সেই দলে কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না আজ। রবিবারের ডার্বির কথা ভেবে প্রথম একাদশে পরিবর্তন করতে চাইছেন না শঙ্করলাল। বলেও দিলেন, ‘‘লিগের শুরুতে পরীক্ষা-নিরিক্ষা যা করার করেছি। এখন আর সে সুযোগ নেই।’’
মোহনবাগানের সুবিধা তাদের দুই বিদেশি স্ট্রাইকারই গোলের মধ্যে রয়েছেন। দিপান্দা ডিকা ছয় গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইতে এগিয়ে। হেনরি কিসেক্কাও গোল পাচ্ছেন। ফলে ডিকা-হেনরি জুটিকে ঘিরেই লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখছে মোহনবাগান। গত মরসুমে অল্পের জন্য কলকাতা লিগ হাতছাড়া হয়েছিল শিল্টনদের। সফল হতে পারেননি শঙ্করলালও। কোচিং জীবনে পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ ফের পাচ্ছেন তিনি। সে জন্যই প্রচন্ড সতর্ক সবুজ-মেরুন কোচ। বলছিলেন, ‘‘আট বছর মোহনবাগান কলকাতা লিগ জেতেনি। টুনার্মেন্ট শুরুর আগেই আমরা তাই শপথ নিয়েছিলাম এ বার খেতাব পেতেই হবে। পিয়ারলেস ম্যাচে দু’পয়েন্ট নষ্ট করার পর সবাই ঠিক করেছিলাম ডার্বির আগে কোনও পয়েন্ট নষ্ট করব না। সব ম্যাচ জিততে হবে। এরিয়ান ম্যাচেও সেটাই লক্ষ্য।’’