Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিদেশি কোচ নিয়ে প্রবল আপত্তি সর্দারদের

বিদেশি কোচের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ভাষা নিয়ে। এই অসুবিধার কথা স্বীকার করে নিয়েই সর্দার বলেন, ‘‘দেশীয় কোচের সঙ্গে কাজ করার অনেক সুবিধা আছে। কোচকে আমরা মনের অনেক কথা খোলাখুলি বলতে পারি। কোচও আমাদের সহজ ভাবে তাঁর পরামর্শ বা নির্দেশগুলো বুঝিয়ে দিতে পারেন। সিনিয়র খেলোয়াড়েরা যে  বললেই রাতারাতি তাদের খেলার পদ্ধতি বদলাতে পারে না, এটাও দেশীয় কোচেরা ভাল বোঝেন।’’

উৎসাহ: এশিয়াডের জন্য সর্দারকে শুভেচ্ছা রাঠৌরের। পিটিআই

উৎসাহ: এশিয়াডের জন্য সর্দারকে শুভেচ্ছা রাঠৌরের। পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২৮
Share: Save:

বিদেশি কোচের চেয়ে দেশের কোনও কোচই যে তাঁদের বেশি পছন্দের, তা এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আগে জানিয়েই দিলেন ভারতীয় হকি তারকা সর্দার সিংহ। আর এক সিনিয়র খেলোয়াড় মনপ্রীত সিংহেরও সায় আছে সর্দারের এই বক্তব্যে।

বিদেশি কোচের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ভাষা নিয়ে। এই অসুবিধার কথা স্বীকার করে নিয়েই সর্দার বলেন, ‘‘দেশীয় কোচের সঙ্গে কাজ করার অনেক সুবিধা আছে। কোচকে আমরা মনের অনেক কথা খোলাখুলি বলতে পারি। কোচও আমাদের সহজ ভাবে তাঁর পরামর্শ বা নির্দেশগুলো বুঝিয়ে দিতে পারেন। সিনিয়র খেলোয়াড়েরা যে বললেই রাতারাতি তাদের খেলার পদ্ধতি বদলাতে পারে না, এটাও দেশীয় কোচেরা ভাল বোঝেন।’’

নেদারল্যান্ডসের সোর্দ মারিনের বদলে হরেন্দ্র সিংহ কোচ হওয়ার পরেই ভারতীয় হকি দল গত মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্স আপ হয়। খেলোয়াড়দের মতে, ম্যাচের মাঝখানে দু’মিনিটের বিরতিতে কোচ যেটা বোঝান, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিদেশি কোচ থাকলে অনেক সময়েই বিরতিতে এই ঝটিকা পরামর্শ অনেকেই বুঝতে পারেন না। এই জায়গাটাতেই হরেন্দ্র দলের পারফরম্যান্সের উন্নতিতে অনেক প্রভাব ফেলেছেন বলে মনে করেন দলের খেলোয়াড়দের অনেকে।

সর্দারই বলেন, ‘‘মেয়েদের দলের ফল হোক বা ছেলেদের জুনিয়র দলের, উনি কিন্তু সেরা কোচেদের সঙ্গে কাজ করেছেন। আমি ওঁর কোচিংয়ে খেলেছি ২০০৯-এ, যখন উনি হোসে ব্রাসার সহকারী ছিলেন’’, বলেন সর্দার। তাঁর মতে, ‘‘এখন আমাদের দলে সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল, আমরা সবাই পরস্পরের মধ্যে হিন্দিতে কথা বলতে পারি। ম্যাচের বিরতিতে দু’মিনিটের মধ্যে বিদেশি কোচের একটা লাইনও যদি ঠিকমতো বোঝা না যায়, তা হলে খেলোয়াড়রা ধন্দে পড়ে যায়। ওইটুকু সময়ে কোচের পক্ষে একটা কথা দু’বার বোঝানো সম্ভব না। আর বাইরে থেকে যেহেতু তিনিই খেলাটা দেখেন, তাই শুধু তাঁর পক্ষেই বলা সম্ভব যে, কী করা উচিত।’’

অন্য দিকে মনপ্রীত বলছেন, ‘‘নতুন কোচ এসেই যদি আমাদের খেলার স্টাইল বদলাতে বলেন, সেটা সমস্যা হয়। বরাবরই আমাদের শক্তি আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ। এস ভি সুনীল আর আকাশদীপের মতো গতিময় ফরোয়ার্ডদের কী করে কাজে লাগাতে হয়, তা খুব ভাল জানেন হরেন্দ্র পাজি। বড় কোচেদের সঙ্গে কাজ করে উনি নিজেকে অনেক উন্নত করেছেন।’’ সর্দারদের এই বক্তব্যে ভারতীয় হকিতে বিদেশি কোচের রাস্তা বন্ধ হতে চলেছে কি না, সেটাই প্রশ্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE