সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হচ্ছে মহিলাদের দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে। দুই রাউন্ডের পরেও আলাদা করা গেল না দিব্যা দেশমুখ ও কোনেরু হাম্পিকে। দুটো গেমই ড্র হয়েছে। ফলে সোমবার টাইব্রেকারে হবে ফয়সালা। সেখানেই ঠিক হয়ে যাবে ভারতের প্রথম মহিলা দাবাড়ু হিসাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কে হবেন।
ফাইনালে পর পর দু’দিন দুটো ক্লাসিক্যাল গেম হয়েছে। ক্লাসিক্যালে প্রথম ৪০ চালের জন্য ৯০ মিনিট সময় পান দাবাড়ুরা। তার পর আরও ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। প্রতি চালের পর ঘড়িতে ৩০ সেকেন্ড করে সময় বেড়ে যায়। শনিবার প্রথম গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলেছিলেন দিব্যা। ফলে রবিবার সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলেন হাম্পি। দাবায় সাদা ঘুঁটি নিয়ে যিনি খেলেন তিনিই সাধারণত সুবিধা পান। কিন্তু হাম্পি শুরুতে কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলেন।
‘এ০৬ জ়ুকারটর্ট ওপেনিং’ দিয়ে শুরু করেন হাম্পি। দিব্যার তুলনায় তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। নিজের অর্ধেক বয়সি (দিব্যার বয়স ১৯, হাম্পির ৩৮) প্রতিযোগীর বিরুদ্ধেও শুরুতে ঝুঁকি নিতে চাননি হাম্পি। তুলনায় দিব্যা অনেক বেশি আক্রমণাত্মক চাল দিতে থাকেন। ফলে প্রথম দিকে চাল দিতে সময় লাগছিল হাম্পির।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক চাপ সামলে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খেলায় ফেরেন হাম্পি। তিনিও দিব্যাকে বাধ্য করেন সময় নিতে। ফলে দুই খেলোয়াড়ের ঘড়িতেই সময় কমছিল। তার পরেও দিব্যা চেষ্টা করছিলেন খেলার ফয়সালা করতে। তিনি আক্রমণ থেকে সরেননি। কয়েক বার ঝুঁকিও নেন। কিন্তু হাম্পির খেলার ধরন বদলায়নি। ৩৪ চালের পর দুই প্রতিযোগীই ড্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে দুই রাউন্ডের পর তাঁদের দু’জনেরই পয়েন্ট ১।
প্রথম দুই গেম ক্লাসিক্যাল হলেও টাইব্রেকার হবে র্যাপিড ও ব্লিৎজ় ফরম্যাটে। প্রথমে দুই প্রতিযোগীর মধ্যে দুটো ১০ মিনিটের র্যাপিড গেম হবে। তাতে খেলার ফয়সালা না হলে তার পর দুটো ৫ মিনিটের র্যাপিড গেম হবে। তাতেও যদি জয়ী না পাওয়া যায়, তখন দুটো ৩ মিনিটের ব্লিৎজ় গেম হবে। এই ছ’টা গেমের পরও ফয়সালা না হলে একের পর এক ব্লিৎজ় গেম চলতেই থাকবে যত ক্ষণ না এক জন জেতেন।