Advertisement
E-Paper

ছয় লাল কার্ড, শেষ চারে গোয়া

ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এফসি গোয়া এবং জামশেদপুর এফসি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৪৯

ভারতীয় ফুটবলের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গেল বৃহস্পতিবার। বিদেশে এ রকম ঘটনা ঘটলেও এ দেশের প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টে এমন হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না কেউ।

ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এফসি গোয়া এবং জামশেদপুর এফসি। সেই ম্যাচেই বিরতিতে স্টেডিয়ামের টানেলে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন দু’দলের ফুটবলাররা। যার জেরে বিরতিতে ছয় ফুটবলারকে মাঠ থেকে বের করে দেন তামিলনাড়ুর রেফারি বেঙ্কটেশ। ফলে বিরতির পর দু’দলে আট জন করে ফুটবলার খেললেন বাকি ৪৫ মিনিট। গোয়ার যে তিন জন সাসপেন্ড হয়েছেন— তাঁরা হলেন সের্জিও সুস‌্ত, ব্রুনো পিনেইরো এবং ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজ। জামশেদপুরের যে তিন ফুটবলারকে রেফারি মাঠে নামতে দেননি তাঁরা হলেন সুব্রত পাল, আনাস এডাথোডিকা এবং কেরভেনস বেলফোর্ট।

ঝামেলার সূত্রপাত বিরতির আগের মুহূর্তে। গোয়া তখন ১-০ এগিয়ে। গোয়ার ব্রেন্ডনের করা একটি গোল নিয়ে বিতর্কে জড়ান রেফারি। বল গোল লাইন পেরোয়নি এই দাবি তুলে জামশেদপুরের ফুটবলাররা প্রতিবাদে সরব হন। প্রথমে গোলের বাঁশি বাজিয়েও পরে টিভি রিপ্লে দেখে রেফারি গোল বাতিল করে দেন। যার জেরে জামশেদপুরের সুব্রত পাল ও আনাসের সঙ্গে গোয়ার ব্রেন্ডনের তর্কাতর্কি শুরু হয়। সূত্রের খবর, সেই তর্ক করতে করতেই দু’পক্ষ টানেলের মধ্যে চলে যায়। পিছনে ছিলেন রেফারি ছাড়াও ম্যাচ কমিশনার সঞ্জয় কুমার। জানা গিয়েছে, জামশেদপুরের গোলকিপার কোচ ববি মিমাস ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন গোয়ার ব্রুনোকে। এরপরই ঝামেলা বাড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে টানেলের মধ্যে মারামারি হয় দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে। এর পরই ম্যাচ কমিশনার তাঁর ঘরে ডেকে পাঠান রেফারিকে। সেখানেই দু’দলের ছয় ফুটবলারকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত হয়। যে হেতু রেফারি টানেলের মধ্যে লালকার্ড দেখাতে পারেন না, তাই দু’দলের ড্রেসিংরুমে গিয়ে তিনি জানিয়ে আসেন সিদ্ধান্ত। ম্যাচ কমিশনার বা রেফারি এ নিয়ে কিছু না বললেও রেফারি পরীক্ষক কমলেশ্বরন শঙ্করকে রাতে ফোনে ধরা হলে তিনি বলে দেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত লিখে ফেডারেশনকে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওরাই যা বলার বলবে।’’

তবে রেফারিরা কী ভাবে ওই ছয় ফুটবলারকে বাছলেন তা নিয়ে ম্যাচের পর প্রশ্ন তুলেছেন দু’দলের কোচ। গোয়ার সহকারী কোচ ডেরিক পেরিরা ভুবনেশ্বর থেকে ফোনে বললেন, ‘‘ঝামেলা হয়েছে ঠিক। কিন্তু আমাদের যে তিন জনকে সাসপেন্ড করা হল, তাদের বাছা হল কিসের ভিত্তিতে।’’ আর জামশেদপুরের কোচ স্টিভ কপেলের মন্তব্য, ‘‘আমাদের তিন জন যে ঝামেলায় জড়িয়েছে তার প্রমাণ কী?’’ এই ঝামেলায় সবথেকে লাভবান হবে ইস্টবেঙ্গল। কারণ এ দিন গোয়া ৫-১ এ জিতে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু গোয়ার সেরা তিন ফুটবলারই খেলতে পারবেন না।

Jamshedpur FC FC Goa Super Cup Football Red Cards
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy