প্রত্যাবর্তনের দিনেই হাফসেঞ্চুরি রাহুলের।
জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের দিন হাফসেঞ্চুরি করে উঠে ভারতীয় ওপেনার কে এল রাহুল কৃতিত্ব দিচ্ছেন তাঁর অধিনায়ককে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে রাহুল বলে গেলেন, ‘‘অধিনায়ক যখন আপনার ওপর আস্থা রাখে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়।’’
রাহুল জানাচ্ছেন, শুধু এই টেস্টের আগে নয়, অস্ত্রোপচারের সময় থেকেই অধিনায়ক, সতীর্থরা তাঁর পাশে ছিলেন। বলছেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের সময় থেকে আমাকে সতীর্থ ক্রিকেটাররা, সাপোর্ট স্টাফ, সবাই মেসেজ করত। বলত, ‘তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো। তোমার অভাব টের পাচ্ছি’। এই সব ছোটখাটো ব্যাপার আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেয়।’’
তাঁর অধিনায়ক, সতীর্থদের এই কথাগুলো যে মন্ত্রের মতো কাজ দিয়েছে, সেটা বলছিলেন রাহুল। ‘‘ওদের এই কথাগুলো সব সময় আমাকে উদ্বুদ্ধ করত। রোজ আমাকে সকালে উঠিয়ে ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে পাঠাত। আমি বুঝতে পারতাম, টিম আমার ওপর ভরসা রাখছে। আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যাবে।’’
আরও পড়ুন: অর্জুন পুরস্কারের জন্য নাম পাঠানো হল পূজারা, হরমনপ্রীতের
বেশ কিছু দিন বাইরে থেকে আবার ফিরেছেন দলে। ব্যাট করতে নামার সময় কি বাড়তি চাপে ছিলেন? রাহুলের বক্তব্য, ‘‘আমি চাপমুক্ত মনেই দলে আবার ঢুকেছিলাম। আমার জায়গা চলে যেতে পারে, এ রকম কোনও চাপ আমার ওপর ছিল না।’’রাহুল এর আগেও অসুস্থতার জন্য ভারতীয় টিমের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। চোট আঘাতও প্রায় নিয়মিত ভুগিয়েছে। জানতে চাওয়া হয়, কতটা কঠিন হয় ব্যাপারটা সামলানো? রাহুল বলছেন, ‘‘আসলে আমরা ক্রীড়াবিদরা ঘরে বসে থাকতে একেবারে ভালবাসি না। আমরা চাই মাঠে নেমে খেলতে, জিমে যেতে, বল মারতে। আর আপনি যখন সেটা করতে পারেন না, তখন আপনার মনের ওপর চাপ বাড়ে।’’
রাহুল এ দিন দুর্ভাগ্যবশত তিনি রান আউট হয়ে যান চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। যা নিয়ে রাহুল বলছেন, ‘‘আমি ওকে দোষ দিতে চাই না। রান আউট তো হতেই পারে। আমার খারাপ লাগছিল, কারণ আমি আউট হতে চাইনি। এত দিন বাইরে ছিলাম বলে যতক্ষণ সম্ভব খেলে যেতে চেয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy