একত্রিশে অবসর নিয়ে চমকে দেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের চমক সোমদেব দেববর্মনের। ভারতীয় টেনিস সংস্থার বিরুদ্ধে পরপর সমালোচনার আক্রমণাত্মক শটে।
চেন্নাই ওপেনে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন সোমবার সোমদেব। প্রশ্ন ছিল এআইটিএ-র ব্যবহারে কি তিনি হতাশ? সোমদেব বলেন, ‘‘কিছু আশাই করিনি তাই হতাশার প্রশ্ন আসছে কোথায়! ওরা তো প্লেয়ারদের কোনও সাহায্য করতে চায় না। চায় না একটা সুস্থ সংস্কৃতি আর সিস্টেম তৈরি হোক। আমি অনেক আগেই এটা বুঝে গিয়েছিলাম।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘২০০৭-এ ডেভিস কাপে আমায় ডাকা হল। কিন্তু ডেভিস কাপে যোগ দিতে এসে বিমানবন্দরে আটকে রইলাম। তখনই বুঝে গিয়েছিলাম এআইটিএ আসলে এক দল.....’’। কথাটা আর শেষ করেননি ফুঁসতে থাকা সোমদেব।
মজার হল, এই সমালোচনার আগুন ঝরানোর কিছুক্ষণ আগেই সোমদেব বলছিলেন তিনি এআইটিএ-র আর সমালোচনা করবেন না। তা হলে এআইটিএ তাঁকে কোনও দায়িত্ব দেবে না। বলছিলেন, ‘‘এআইটিএ-র সমালোচনা করতে থাকলে ওরা আমায় ডাকবে না। এখনও অবসরের পর কী করব স্থির করিনি। তবে সুযোগ পেলে আমি অনেক কিছু দিতে পারি ভারতীয় টেনিসকে। কোর্টে আমার খেলার স্টাইল নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু এক জনকেও পাবেন না যে ভাবে আমি কোর্টে লড়াই করতাম তার সমালোচনা করতে।’’
উঠতি টেনিস খেলোয়াড়দের সোমদেবের পরামর্শ, দেশের বাইরে প্রস্তুতি নেওয়ার। তিনি নিজেও যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ টেনিসে খেলেছেন। দুটো খেতাবও আছে। সদ্য প্রাক্তন ডেভিস কাপার বলেন, ‘‘কোচিং, পেশাদারিত্ব, পরিকাঠামো, বিশেষজ্ঞ— কী ভাবে এক জন প্লেয়ারকে তুলে আনতে হয় ওখানকার টেনিসে সেই জ্ঞানটা আরও প্রখর ভারতের তুলনায়। তা ছাড়া আমার মনে হয় দেশের বাইরে প্রস্তুতি নিলে মানসিক বিভ্রান্তি থেকেও দূরে থাকা যায়।’’
নিজের টেনিস কেরিয়ার আরও বাড়াতে এ বার ডাবলসে নামার কথা ভাবছেন কি না প্রশ্নে সোমদেবের উত্তর, ‘‘ডাবলসে খেলাটা কখনই আমার কাছে বিকল্প ছিল না। মাথায় আসেওনি। টার্গেট ছিল সিঙ্গলস। আর বিশ্বের প্রথম একশোর মধ্যে আসা। সিঙ্গলস আমার কাছে আরও এক্সাইটিং।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy