শত্রু শিবিরকে অশ্বিন-ঘূর্ণি সামলানোর টোটকা সৌরভের

অনেকে মজা করে বলছেন ঘর শত্রু বিভীষণ। কেউ কেউ বলছেন, স্পোর্টসম্যান স্পিরিট।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং কোচকে বৃহস্পতিবার দুপুরে যে ভাবে শট বোঝাচ্ছিলেন সৌরভ, মাঠের বাইরে থেকে তা দেখে অনেকেই অবাক।

হচ্ছেটা কী? সিএবি প্রেসিডেন্ট শেষে কি না শত্রুপক্ষের খেলোয়াড়দের সাহায্য করছেন! সৌরভ অবশ্য বলছেন, তিনি তাঁর ক্রিকেটার-ধর্মই পালন করেছেন।

এ দিন ভারতীয় দল সকালে প্র্যাকটিস করে চলে যাওয়ার পর দুপুরে নিউজিল্যান্ড ইডেনে আসে। ওই সময় সৌরভও আসেন ইডেনে। গত কয়েক দিনের মতো এ দিনও তিনি ইডেনে ঢুকে আগে মাঠ দেখতে যান। মাঠে দেখা হয় নিউজিল্যান্ড দলের ব্যাটিং কোচ ক্রেগ ম্যাকমিলানের সঙ্গে। দু’জনের কথার মাঝে এসে পড়ে কিউয়ি ওপেনার টম ল্যাথামের প্রসঙ্গ। কানপুরে দুই ইনিংসেই অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ-র ফাঁদে পড়েন ল্যাথাম। কী ভাবে এই সমস্যা দূর করা যায়, সেটাই নাকি জানতে চান ম্যাকমিলান।

এ দিন সন্ধ্যায় ক্লাব হাউসে সৌরভকে সেই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে তিনি বলেন, ‘‘আসলে ওরা তখন জানতে চাইছিল, অশ্বিনের বল বারবার কেন ল্যাথামের প্যাডে এসে লাগছে। এই ভুলটা কী করে এড়ানো বা শোধরানো যায়। ভারতীয় উইকেটে, এখানকার কন্ডিশনে কী ভাবে অশ্বিনকে সামলানো যায়, সেটাই বলছিলাম আমি। ওরা যদি আমার সাহায্য চায়, তা হলে তা করব না?’’

প্রথম টেস্টে অশ্বিনের বোলিংয়ে দুই ইনিংসেই আউট হওয়া নিয়ে এ দিন ল্যাথাম বলেন, ‘‘অশ্বিন বিশ্বমানের বোলার। ওর বলে সূক্ষ্ম সব বৈচিত্র রয়েছে। এই ব্যাপারটার সঙ্গে আমাদের যথাসম্ভব দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। প্র্যাকটিসে এই ভুলটা শুধরে নিতেই হবে আমাদের।’’

বৃহস্পতিবার সৌরভের টিপস পাওয়ার পর তাঁর নিশ্চয়ই এই ভুল শুধরে নিতে আরও সুবিধা হবে।

আর ভুল শুধরে নিয়ে যদি কিউয়ি ওপেনার ইডেনে একটা বড় ইনিংস খেলে দেন, তা হলে আবার না আঙুল সৌরভের দিকে ওঠে। শুনে সৌরভ হেসে বললেন, ‘‘একজন ক্রিকেটার আর একজন ক্রিকেটারকে সাহায্য করবে এটাই তো স্বাভাবিক। ইন্ডিয়া টিমের কেউ আমার কাছে এলে আমি তাদের সাহায্য করতাম না?’’