মোহালি টেস্টের রেজাল্ট দেখার পর পিচ নিয়ে অনেককেই আঁতকে উঠতে দেখছি। প্রচুর লোকে বলছে যে, এটা কী রকম টেস্ট উইকেট যেখানে তিন দিনে চারটে ইনিংস বেরিয়ে যায়? আগামী তিন টেস্টের বাইশ গজ নিয়েও প্রচুর জল্পনা চলছে। বলাবলি হচ্ছে, বেঙ্গালুরু-নাগপুরেও তিন দিনে টেস্ট হয়ে যাবে কি না। সিরিজের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়েও প্রচুর ভবিষ্যদ্বাণী শুনছি। সিরিজটা ভারত কী ভাবে জিততে চলেছে, সেটাই এখন চর্চার বিষয়।
প্রথমেই বলে রাখি যে, মোহালি পিচের মধ্যে আমি খারাপ কিছু খুঁজে পাইনি। তিন দিনে টেস্ট শেষ শুধু মোহালিতে হল, এমন তো নয়। ইংল্যান্ডে হয়েছে, নিউজিল্যান্ডে হয়েছে। আর ওখানকার গ্রিন টপে যদি টেস্ট তিন-সাড়ে তিন দিনে শেষ হয়ে যেতে পারে, তা হলে মোহালির টার্নারেও পারে। যে যাই বলুক, উইকেট খারাপ ছিল না। এমন তো হয়নি যে বল গড়িয়ে এসেছে। আন্ডারপ্রিপেয়ার্ড পিচ কোনও ভাবে নয়। গ্রিন টপে যেমন খেলার আলাদা টেকনিক আছে, টার্নারে খেলতে গেলেও তেমন এক রকম টেকনিক লাগে। খেয়াল করলে দেখবেন, মোহালিতে যারা উইকেটে প্রথম তিরিশ-চল্লিশ বল খেলে দিতে পেরেছে, তারা রান করেছে। টার্নারে ব্যাটসম্যানকে সময় দিতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। আর কোহলির হাতে তিনটে দুর্দান্ত স্পিনার আছে। অশ্বিন-জাডেজা জুটিকে মারাত্মক দেখাচ্ছে। ভারত কোন দুঃখে টার্নারের বাইরে ভাবতে চাইবে? এত হইচই চলছে কারণ গত আঠারো মাসে দেশের মাঠে আমরা খেলিনি। খেললে এত চোখে লাগত না।
পরিষ্কার বলছি, পরের তিনটে টেস্টেও ভারত টার্নারে ফেলতে চলেছে হাসিম আমলার টিমকে। স্পিনের সেই তেতো ওষুধটাই এবি ডে’ভিলিয়ার্সদের প্লেটে বরাদ্দ থাকবে যা ছিল বছর তিনকে আগে মাইকেল ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়ার জন্য। সে বারও একের পর এক ঘূর্ণি উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে নামিয়েছিল ভারত। সিরিজ সেরা হয়েছিল অশ্বিন। আর সিরিজে ক্লার্কদের ছিন্নভিন্ন করে মহেন্দ্র সিহ ধোনির টিম সিরিজ জিতেছিল ৪-০। এ বার বিরাটের টিম একই প্রেসক্রিপশনে চলবে। কিন্তু ফলাফল অতটা একতরফা হবে বলে আমার মনে হয় না।