মঙ্গলবার বিরাট কোহলির আরও একটা মাস্টারক্লাস দেখলাম। এখন ও যে ভাবে খেলছে, তা থেকে আমাদের টিমের অনেক কিছু শেখার আছে। ম্যাচ শেষে ও বলছিল কী ভাবে ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। এটা সাধারণ টি-টোয়েন্টি পরিবেশ নয়। কিন্তু বিরাট নিজের খেলাটাকে পুরো বিশেষজ্ঞের মতো পাল্টে নিয়েছে। খাঁটি ক্রিকেটীয় শট খেলছে, প্রতিটা বল বুঝে মারছে আর নিজের ক্রিজ ব্যবহার করছে।
বিরাট খুব ভাল স্ট্রাইক রোটেটও করে। শ্রীলঙ্কাকে যেটা সবার আগে শিখতে হবে। সিঙ্গলস নেওয়া সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন উইকেটে তো আরওই। ১২০ বলের ইনিংসে ৪০-এর বেশি ডট বল খেললে সমস্যা হবেই। স্ট্রাইক রোটেশন জরুরি কারণ তাতে ব্যাটসম্যানের উপর চাপ কমে, বোলারের উপর চাপ বাড়ে আর বাউন্ডারির সুযোগও তৈরি করে। ভারতীয় ব্যাটিং প্রসঙ্গে বলব, কোহলি আর রোহিত শর্মা দারুণ শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের দুই প্রধান স্তম্ভ। ভারতের বোলিং, বিশেষ করে অশ্বিন দারুণ। কিন্তু ব্যাটিংই ওদের এগিয়ে রাখছে।
শ্রীলঙ্কা নিশ্চয়ই এখন খুব হতাশ। আমাদের ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশামতো খেলতে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে রান তোলার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ওদের ভাবা দরকার। বাংলাদেশের এ রকম পিচে বোলাররা বেশি সাহায্য পায়। এখানে তাই সতর্ক ভাবে খেলা দরকার, যাতে বারো ওভার পর বড় শট খেলার জন্য হাতে উইকেট থাকে। শ্রীলঙ্কা খুব দ্রুত খুব বেশি উইকেট খোয়াচ্ছে। বোলিং ভালই হচ্ছে। কিন্তু উইকেট নেওয়ার মতো আর একজন স্পেশ্যালিস্ট চাই।
শুক্রবার পাকিস্তান ম্যাচটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে। পাক পেসাররা দারুণ উত্তেজক আর প্রতিভাবান। আমরা আগে ব্যাট করলে নতুন বলে বেশি উইকেট হারালে চলবে না। (গেমপ্ল্যান)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy