Advertisement
E-Paper

পদকের লক্ষ্যে ডায়মন্ড লিগে চোখ শ্রীশঙ্করের

ফেডারেশন কাপে লং জাম্পে ৮.২৬ মিটার লাফিয়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন। একই সঙ্গে পেয়ে গিয়েছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ছাড়পত্রও।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২১ ০৫:৫৯
আশাবাদী: অলিম্পিক্সে দেশকে পদক দেওয়ার স্বপ্ন শ্রীশঙ্করের।

আশাবাদী: অলিম্পিক্সে দেশকে পদক দেওয়ার স্বপ্ন শ্রীশঙ্করের। ফাইল চিত্র

বাবা-মা দু’জনেই ভারতের হয়ে অ্যাথলেটিক্সে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কেরলের পালাক্কড় জেলার সেই ২১ বছরের সম্ভাবনাময় অ্যাথলিট এম শ্রীশঙ্কর টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নামবেন এ বার লং জাম্পে।

ফেডারেশন কাপে লং জাম্পে ৮.২৬ মিটার লাফিয়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন। একই সঙ্গে পেয়ে গিয়েছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ছাড়পত্রও। আত্মবিশ্বাসী মেজাজে কেরলের এই প্রতিভা বলছেন, ‍‘‍‘অ্যাথলেটিক্সে বাবা-মা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাই তাঁদের মূল্যবান পরামর্শ এবং আমার মরিয়া চেষ্টা এগিয়ে নিয়ে এসেছে এতটা। সুস্থ থাকলে মরসুম শেষে ৮.৪০ মিটারও লাফ দিয়ে অতিক্রম করতে পারব।’’

মা কে এস বিজিমল এবং বাবার উৎসাহেই ছোট থেকেই অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাকে রয়েছেন শ্রীশঙ্কর। তুতো ভাই-বোনেরাও রাজ্য স্তরের অ্যাথলিট। শ্রীশঙ্কর বলছেন, ‍‘‍‘ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ রয়েছে আমার। বাবা-মাকে দেখেই অ্যাথলেটিক্সকে বেছেছি। পরিবারের প্রায় সকলেই খেলার সঙ্গে যুক্ত। তুতো ভাই-বোনেরা কেউ টেনিস বা বাস্কেটবলে কেরলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে। তাই ছোট থেকেই দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখি।’’

ছোট বয়সে স্প্রিন্টার ছিলেন। তাই তার পরে লং জাম্পে চলে আসেন। যে সম্পর্কে শ্রীশঙ্কর বলছেন, ‍‘‍‘ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে মাঠে গিয়ে দৌড়তাম। সে সময়ে স্প্রিন্টার হিসেবে সাফল্যও পেয়েছি। রাজ্য স্তরে স্প্রিন্টার হিসেবে সোনাও জিতেছি।’’ যোগ করেন, ‍‘‍‘একটু বড় হতেই চলে আসি লং জাম্পে। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে বাবা বুঝতে পারেন আমার মধ্যে লাফ দেওয়ার প্রতিভা রয়েছে। স্প্রিন্টার হিসেবে খুব বেশি এগোতে পারব না। তাই চলে আসি লং জাম্পে।’’ শ্রীশঙ্কর আরও বলেন, ‍‘‍‘বাবাও লং জাম্পার ছিলেন। ভারতের হয়ে খেলেছেন। ফলে বিদেশি কোচেদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার সাহায্যেই উনি আমাকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়েছেন।’’ বাবা-মা দু’জনেই অ্যাথলিট থাকার সুফল হিসেবে শ্রীশঙ্কর বলছেন, ‍‘‍‘ওঁরা জানেন আমার কী করতে হবে। মা আমার খাদ্য তালিকা তৈরি করেন। একজন পুষ্টিবিদ থাকলেও তিনি মায়ের সঙ্গে কথা বলেই সেই তালিকা বানান। বাবা জানেন কখন কী অসুবিধা হতে পারে। এই সুবিধা অন্য অ্যাথলিটেরা পায় না।’’

ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স মহলে শ্রীশঙ্কর নামটি প্রথম নজর কাড়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ভুবনেশ্বরে আয়োজিত জাতীয় ওপেন অ্যাথলেটিক্সে লং জাম্পে জাতীয় রেকর্ড ভাঙেন। গড়েন নতুন রেকর্ড (৮.২০ মিটার)। এ বার পঞ্চম লাফে সেই রেকর্ডই ভেঙে ফের নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

এশিয়ান গেমসে দৌড়ের সমস্যায় লং জাম্পে ষষ্ঠ হন। প্রত্যয়ী মেজাজে কেরলের এই লং জাম্পার বলছেন, ‍‘‍‘এখনও অনেক পরিমার্জন দরকার। উন্নতি করতে হবে আরও। আশা করছি, অলিম্পিক্সে দেশকে পদক দিতে পারব অ্যাথলেটিক্স থেকে। যা আমার স্বপ্ন। যদিও কাজটা বেশ শক্ত।’’

২০১৬-র রিয়ো অলিম্পিক্সে মার্কিন অ্যাথলিট জারিয়ন লসন চতুর্থ হয়েছিলেন ৮.২৫ মিটার লাফিয়ে। ব্রোঞ্জজয়ী গ্রেগ রাদারফোর্ড লাফিয়েছিলেন ৮.২৯ মিটার। এ বার সেই কৃতিত্ব ছুঁতে বিদেশে প্রস্তুতি চান শ্রীশঙ্কর।

Tokyo Olympics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy